বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে আগামী বছর একযোগে বাঘশুমারি

বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে আগামী বছর একযোগে বাঘশুমারি

প্রথমবারের মতো একযোগে যৌথ সমন্বয়ের ভিত্তিতে বাঘশুমারি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল। ভারতের ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির (এনটিসিএ) এক প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের শুরুতে নিজ নিজ এলাকায় একই সময়ে বাঘ গণনার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে তিন দেশ। এনটিসিএর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বৈভব মাথুরের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। বৈভব মাথুর জানান, বাংলাদেশ ও নেপাল এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একই সময়ে একযোগে বাঘশুমারি পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন ভাগাভাগির কারণে সুষ্ঠু ও নির্ভুল শুমারির উদ্দেশ্য থেকেই এ আগ্রহ জানিয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। বাংলাদেশ ও নেপালের এ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বৈভব মাথুর বলেন, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। সর্বোপরি এ উদ্যোগ বাঘ সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় বাঘশুমারিতে ভারতীয় অংশের পশুগণনা কার্যক্রম পরিচালিত হবে এনটিসিএ ও ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সরাসরি তত্ত্বাবধানে। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে প্রাণীটির উপস্থিতি গণনায় বেশকিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাবনা দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে গোটা ভারতের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ন্যাশনাল পার্ক ও অভয়ারণ্যে একই সময়ে একই সঙ্গে বাঘ গণনার প্রস্তাবটি এরই মধ্যে গৃহীত হয়েছে। সম্প্রতি বাঘশুমারির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান ও হিমাচলের ছয় বনাঞ্চলে একযোগে সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের পরিচালক, ডিভিশনাল ফিল্ড অফিসার ও রেঞ্জ অফিসারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে দেশটি। তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে ১৫ নভেম্বর। তিন দেশে একযোগে শুমারির ফলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ সম্ভবপর হয়ে উঠতে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সুন্দরবনের দুই অংশ বাংলাদেশ ও ভারতে পড়ায় একযোগে শুমারি চালানোর মাধ্যমে এ প্রজাতির বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে নানা বিতর্কেরও অবসান ঘটানো সম্ভব হবে। শুমারির প্রাথমিক পর্যায় ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করে আনছে ভারত। স্যাটেলাইট ও পরিসংখ্যানের তথ্যের মাধ্যমে বাঘের আবাসস্থল সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। তৃতীয় পর্যায়ে বাঘের অঞ্চলভিত্তিক ঘনত্ব নির্ণয় ও ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানোর কাজ চলবে ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।
স্যানিটারি ন্যাপকিনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি পূর্ববর্তী

স্যানিটারি ন্যাপকিনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

শীতে ত্বকের যত্নে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন পরবর্তী

শীতে ত্বকের যত্নে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

কমেন্ট