বিএনপির সময়ে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ড্র
অবশেষে বাংলাদেশ-ভারতের একমাত্র টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হলো, নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা আগে দুই দলের সমঝোতায় ম্যাচ ড্র হয়েছে মর্মে সিদ্ধান্তে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
রবিবার প্রথম সেশনে মাঠে নামতে পারেনি কোনো দলই। প্রথম দিন থেকে শুরু করে এই টেস্টে মূল বাধা ছিল বৃষ্টি। যেই বৃষ্টির কারণে দুই দলকে ম্যাচ ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
প্রথম ইনিংসে ভারত ৬ উইকেট হাতে রেখে ৪৬২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ৬৫ ওভার ৫ বলে খেলে ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে সব উইকেট হারিয়ে করে ২৫৬ রান করে।
বাংলাদেশ এখনো ভারত থেকে ২০৬ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ঘুর্নি জাদুকর তাইজুল ইসলাম (১৬)।
মাত্র ৯ রান করে দলীয় ১২১ রানের মাথায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ঋধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
এরপর ৭২ রান করে দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় হরভজন সিংয়ের বলে ঋধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইসরুল কায়েস।
ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার পরের ওভার পরেই বরুন অ্যারনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার (৩৭)।
এরপর অশ্বিনের বলে ২১৯ রানের মাথায় রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শুভাগত হোম (৯)।
অশ্বিনের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (৪৪)।
এরপর একে একে মোহাম্মদ শহীদ ও জোবায়ের হোসেন আউট হন।
রবিবার মাঠ পরিদর্শন শেষে আম্পায়রা জানান, খেলা শুরু হবে দুপুর পৌণে ১টায়, যদি বৃষ্ট আর না আসে। অবশেষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা।
শনিবার ৪টা ১০ মিনিটে চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা) ও নিজেল লায়ং (ইংল্যান্ড)।
এরআগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের খেলা ৩০ ও ১ ওভার হতেই নামে বৃষ্টি। এরপর বাধ্য হয়েই আম্পায়াররা ১০ মিনিট হাতে থাকতেই মধ্যাহ্ন বিরতি ঘোষণা করেন।
এরপর থেমে থেমে বৃষ্টি আসায় আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ার পর দুই আম্পায়ার মাঠ পরিদর্শনে করে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
এরআগে বাংলাদেশ হারিয়েছে ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, এরপর খুব কম বিরতিতে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এই তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটাই চাপের মুখে আছে বাংলাদেশ।
তবে অপর ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ৫৯ রান ও সাকিব আল হাসান শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ফতুল্লা টেস্টের চতুর্থ দিন সকালেই সাত রান তুলে নিয়ে হাবিবুল বাশারকে ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান তামিম ইকবাল।
তবে তিনটি চার মেরে ২১ বলে ১৯ রান সংগ্রহ করেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর খেলতে নেমে মুমিনুল হক ঠিকমতই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এর আগে ১১ ম্যাচে অর্ধশতক করে শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে আরেক কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের পাশে নাম লেখানো মুমিনুলেল এবার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড স্পর্শ করার। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় হরভজনের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে তিনি।
এরপরের ওভারে খেলতে নেমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম।
তবে প্রথম সেশনে আশা জাগানিয়া ব্যাট করেছেন ইমরুল কায়েস। এই বাঁহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান ৭৫ বলে নয়টি চার হাঁকিয়ে অর্ধশতক করেন।
ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সফররত ভারতের সাথে একমাত্র টেস্ট সিরিজকে বৃষ্টি তাড়া করছে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠেও গড়াতে না পারলেও প্রথম ও তৃতীয় দিনে বৃষ্টির লুকোচুরির মাঝে ১০৩ ওভার ৩ বল খেলে ৬ উইকেটে ৪৬২ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। বৃষ্টির কারণে। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই ব্যাটিং শুরু করেছে স্বাগতিকরা।
দুই ভারতীয় ওপেনার মুরালি বিজয় আর শিখর ধাওয়ানের ২৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটির সুবাদে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। দুজনেই তুলে নিয়েছেন শতক। মাত্র দুই রানের জন্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে শুধু অজিঙ্কা রাহানেকে।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পূর্ণ করেছেন দেশের মাটিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক। লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন পেয়েছেন দুটি উইকেট।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, জুবায়ের হোসাইন, লিটন দাস, মোহাম্মদ শহীদ, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শুভাগত হোম, সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম।
ভারত দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), এম বিজয়, শিখর ধাওয়ান, অজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মা, ঋধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), হরভজন সিং, ইশান্ত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বরুন অ্যারন ও উমেশ যাদব।
কমেন্ট