বিএসএফের হাতে নিহত আরো চার বাংলাদেশি

বিএসএফের হাতে নিহত আরো চার বাংলাদেশি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলি ও নির্যাতনে আরো চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে গুলিতে তিনজন এবং বুধবার রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তে নির্যাতনে একজন নিহত হয়। শার্শা সীমান্তে নিহত যুবক বাড়ি থেকে রাগ করে ভারতে মামার বাড়ি গিয়ে প্রাণ হারালেন। এর আগে বুধবার ভোরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে দুজন এবং মঙ্গলবার ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সীমান্তে এক যুবক নিহত হয়। এ নিয়ে টানা তিন দিন সীমান্তে সাত বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ। নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিহতরা হলেন সন্দীপ কুমার (২৮), কামাল হোসেন (৩২) ও মফিজ উদ্দিন (৩৮)। উপজেলার নিতপুর সীমান্তে গতকাল ভোরে বিএসএফের গুলিতে তাঁরা মারা যান। পোরশা উপজেলার ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, বুধবার গভীর রাতে ১৪-১৫ জনের একদল গরু ব্যবসায়ী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গরু আনতে যায়। ফেরার সময় গতকাল ভোর ৬টার দিকে ভারতের ১৫৯ বিএসএফ ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। তিনি আরো জানান, নিহতদের মধ্যে মফিজ উদ্দিনের লাশ বাংলদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পড়েছিল। তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দীপ ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে। বিএসএফ তিনজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বিজিবিকে জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে বাকি দুজনের লাশ হস্তান্তর করা হবে। নওগাঁ ১৬ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আহসান হাবিব বলেন, সীমান্তে তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়। এর জবাবে তারা জানিয়েছে, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করবে। যশোর : অন্যদিকে বুধবার রাতে বিএসএফের নির্যাতনে মারা যান যশোরের শার্শা উপজেলার হানেফ আলী খোকা (৩৫)। তিনি উপজেলার অগ্রভুলোট গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। নিহত হানেফ আলীর চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, ভারতের বর্ণবাড়িয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বুধবার দুপুরে তাঁকে ধরে অমানসিক নির্যাতন করে। পরে রাতে তিনি মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা এ খবর জানতে পারেন। অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিহতের বাবা শাজাহান আলী ক্যাম্পে এসে জানানোর পর বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবুর রহমান জানান, হানেফ আলী পারিবারিক বিবাদে দুই দিন আগে রাগ করে ভারতের মধ্যমগ্রামে তাঁর মামার বাড়ি চলে যান। বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার পথে ভারতে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। তাদের নির্যাতনের একপর্যায়ে হানেফ আলী মারা যান। তাঁর লাশ বনগাঁ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ বিএসএফ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লাশ দেশে আনার চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগ নবগঠিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্ববর্তী

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগ নবগঠিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নালিশনির্ভর দলে পরিণত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের পরবর্তী

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নালিশনির্ভর দলে পরিণত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

কমেন্ট