ব্রিটেনে আগাম নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব ফের প্রত্যাখ্যান করেছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা। বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার রাতে জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ২৯৩ এমপি। কিন্তু প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়। ওই ভোটাভুটির পর পাঁচ সপ্তাহের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যক্রম মুলতুবি হয়ে যায়। এর আগে বিরোধী এমপিরা নিশ্চিত করেন যে, ১৫ অক্টোবর আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আনা প্রস্তাবে সমর্থন তারা দেবেন না। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে একটি আইনের ওপর জোর দিয়ে সেটি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন তারা। এই আইন অবজ্ঞা করলে জনসনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দেন এমপিরা। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর হাউজ অব কমন্সে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব তুলেছিলেন জনসন, কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় সেটাও নাকচ হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, চুক্তি হোক বা না হোক, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করার কথা। কিন্তু সোমবার রাজকীয় সম্মতি পাওয়া নতুন আইন অনুযায়ী তা পরিবর্তিত হয়েছে, এখন ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এমপিরা চুক্তিসহ বা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনুমোদন না দিলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট পেছানোর আবেদন জানাতে বাধ্য হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন ভোটাররা। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় ব্রিটেনআলাদা হবে এবং এরপর ইইউভুক্ত বাকি ২৭ রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে, সেসব বিষয়ে ব্রিটিশ এমপিরা একমত হতে পারেননি। ফলে ব্রেক্সিটের বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। গত জুলাইয়ের শেষে থেরেসা মের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রির দায়িত্ব বুঝে নেওয়া বরিস জনসন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে অবিচল। ব্রিটেনকে তিনি ‘নো ডিলের’ দিকেই নিতে চাচ্ছেন, যা নিয়ে বিরোধী দলের পাশাপাশি জনসনের নিজ দলেরও অনেকের আপত্তি রয়েছে।