বয়কট প্রসঙ্গে কঙ্গনার বক্তব্য

বয়কট প্রসঙ্গে কঙ্গনার বক্তব্য

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। সম্প্রতি তার জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া সিনেমার একটি গান প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তিনি। এরপর তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের বিনোদন সাংবাদিক গিল্ড। আজ বৃহস্পতিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন কঙ্গনার বোন ও মুখপাত্র রাঙ্গোলি চান্ডেল। ভিডিওতে কঙ্গনাকে এ বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। কঙ্গনা বলেন, ‘আজ আমাদের ইন্ডিয়ান মিডিয়াতে যা আছে, আমি সেই বিষয়ে কিছু বলতে চাই। কিন্তু এটা অবশ্যই বলব, সব জায়গাতেই এরকম ভালোর সঙ্গে খারাপ মানুষও থাকে। মিডিয়া আমাকে যে সাহস জুগিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে, আমি বলব আমার সফলতার পেছনে কোনো না কোনোভাবে তাদের বড় অবদান আছে। আমি সবসময় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। কিছু আছেন যারা বুদ্ধিজীবীদের মতো। অন্যদিকে এক শ্রেণি রয়েছেন যারা আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী, গর্ব, একাত্মতাকে সবসময় আক্রমণ করতে থাকে। গুণ্ডা, বড় দেশদ্রোহীদের বিচার হয়, কিন্তু তাদের জন্য আমাদের সংবিধানে কোনো সাজার বিধান নেই। এই বিষয়টি নিয়ে আমার অনেক আপত্তি রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই জারজ মিডিয়া, বিক্রি হওয়া মিডিয়া, যারা নিজেকে অসাম্প্রদায়িক বলে, ধর্মনিরপেক্ষ বলে, এরা দশম শ্রেণিও ফেল। এরা ছদ্মবেশী অসাম্প্রদায়িক। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে দেশের একাত্মতার উপর আঘাত করে। এরকম এক সাংবাদিকের সঙ্গে আমার সংবাদ সম্মেলনে দেখা হয়। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন: প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ, গো হত্যা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলি, শহীদদের নিয়ে সিনেমা তৈরি করি— সে সব বিষয়ে উল্টাপাল্টা বলেছে। গালিগালাজ, আজে বাজে কথা লিখেছে। সংবাদ সম্মেলনে বিনা পয়সায় খাবার পৌঁছে যায়। আপনি নিজেকে কেন সাংবাদিক বলছেন? কোনো যোগ্যতা তো থাকতে হবে। আমি ওই ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিইনি কারণ সে দেশদ্রোহী। আর দেশদ্রোহীদের জন্য আমার কাছে কোনো ছাড় নেই। এই লোকজন মিলে সংঘ তৈরি করেছে। এই সংঘ গতকালই তৈরি হয়েছে, এটি কেউ মানে কিনা সন্দেহ। এই সংঘ গঠন করেই আমাকে হুমকি দেয়া শুরু করেছে— আমার ক্যারিয়ার বরবাদ করে দিবে, আমার খবর ছাপাবে না। আরে অযোগ্য, দেশদ্রোহী, বিক্রি হওয়া লোকজন, তোমাদের কেনার জন্য লাখের প্রয়োজন নেই। তোমরা এতটাই সস্তা যে, ৫০-৬০ রুপিতেই বিক্রি হয়ে যাও। তোমাদের মতো অযোগ্যরা আমাকে বরবাদ করবে? তোমাদের মতো সংবাদিকরাই যদি সব হতো তাহলে আমি দেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হতাম না। আমি হাত জোড় করে বলছি, দয়া করে আমাকে নিষিদ্ধ করুন। কারণ আমি চাই না, আমার জন্য আপনাদের ঘরে চুলা জ্বলুক। এর চেয়ে বড় উপকার আপনারা আমাকে করতে পারবেন না।’
শারীরিক সমস্যার কথা স্বীকার করলেন শ্রুতি পূর্ববর্তী

শারীরিক সমস্যার কথা স্বীকার করলেন শ্রুতি

দাবাং-থ্রি নিয়ে সোনাক্ষীর বক্তব্য পরবর্তী

দাবাং-থ্রি নিয়ে সোনাক্ষীর বক্তব্য

কমেন্ট