ভোটের ময়দানে না থাকলেও ছায়া হয়ে অন্য লড়াইয়ে আছেন নাছির

ভোটের ময়দানে না থাকলেও ছায়া হয়ে অন্য লড়াইয়ে আছেন নাছির

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবার নেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভোটের লড়াইয়ে। কাগজে-কলমে ভোটের ময়দানে না থাকলেও ছায়া হয়ে অন্য লড়াইয়ে ঠিকই আছেন এই নেতা। রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর আছে, আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বিজয় মানে সাবেক মেয়র নাছিরেরই জয়। ফলে নৌকার প্রার্থী রেজাউলের মতো নাছিরের কাছেও চসিক নির্বাচনটি ‘আগুন পরীক্ষা’। আরো সহজভাবে বললে, নৌকার মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউলের জয়-পরাজয়ের ওপর দুলছে আ জ ম নাছির উদ্দীনের ‘ভাগ্য’। এদিকে আর মাত্র এক দিন পর বুধবার হতে যাওয়া এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীও বিজয়ের বিকল্প দেখছেন না। ১৯৯৪ সালে চসিকের প্রথম ভোটের পর গেল ২২ বছরের পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে চারবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছেন। কাউন্সিলর পদেও বেশির ভাগই দলীয় সমর্থিতরা হেসেছেন বিজয়ের হাসি। এসব নির্বাচনে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। প্রথম তিনটিতে বিজয়ী হয়ে মহিউদ্দিন হ্যাটট্রিক করার পর ২০১০ সালের চতুর্থ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এম মনজুর আলমের কাছে হারেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে মহিউদ্দিন মনোনয়ন না পেলেও দলীয় প্রার্থী নাছিরের বিজয়ের ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বড় ভূমিকা। তিন বছর আগে মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ার পর তাঁর অনুপস্থিতিতে এবারই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রথম নির্বাচন হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মহিউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে এ নির্বাচনে আ জ ম নাছির উদ্দীন বড় দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব। গেল পাঁচ নির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা দলীয় মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থনে চট্টগ্রামে এসে রাত-দিন সমানে প্রচারণার মাঠে ছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতাদের খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কয়েকজন এলেও তা-ও হাতে গোনা। একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দলগুলোর স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের অনেককেই মেয়র পদপ্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণায় দেখা মিলছে না। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি, সাবেক মেয়র থেকে শুরু করে ১৯ জন। এর মধ্যে বেছে নেওয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে। অবাক করা বিষয় হলো, মনোনয়ন না পাওয়ার মনঃকষ্টে নির্বাচনী মাঠে বাকি ১৮ নেতার বেশির ভাগই রেজাউলের পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারণায় নেই। গত ৮ মার্চ প্রচারণা শুরুর পর একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা চট্টগ্রাম এসে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দেন। তা হলো কাউন্সিলর পদে দলের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের (দলীয় নেতা) ভবিষ্যতে নতুন কমিটিতে কোনো পদ দেওয়া হবে না। বিদ্রোহীদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ভোটের মাঠেই আলোচনা চলছে, নির্বাচনের পরই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদের আশায় স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ গণসংযোগে থাকলেও রেজাউলকে জয়ী করে আনার পেছনে তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগসহ নির্বাচনী নানা প্রক্রিয়ায় তাঁদের অনেককে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
বিপুল ভোটে জয়ের আশা নৌকার রেজাউলের পূর্ববর্তী

বিপুল ভোটে জয়ের আশা নৌকার রেজাউলের

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাবলু পরবর্তী

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাবলু

কমেন্ট