মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে ‘ইনসাইট’

মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে ‘ইনসাইট’

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান ‘ইনসাইট’ সফলভাবে অবতরণ করেছে মঙ্গল গ্রহে।’ নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সাত মাসের যাত্রা শেষে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে ইনসাইট। বিবিসি ও সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলে অবতরণের পর ইনসাইট সেখানে পৌঁছানোর বার্তা পাঠায় নাসার কাছে এবং অবতরণ স্থানের একটি ছবিও পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গল থেকে পাঠানো ওই ছবি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই করতালি আর উল্লাসে ফেটে পড়ে নাসার কর্মকর্তারা। পৃথিবী থেকে ইনসাইটকে নিয়ন্ত্রণ করছে নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি। মঙ্গলে কম্পনের মাত্রা এবং এ গ্রহ প্রাণধারণের উপযুক্ত কি-না, সে বিষয়ে পরীক্ষা চালাবে ইনসাইট। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে নাসডাক স্টক মার্কেট টাওয়ারে ইনসাইটের মঙ্গলে অবতরণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ৯৯ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত রোবটযান ইনসাইট নাসার ইতিহাসে মঙ্গলে অষ্টম সফল অবতরণের ঘটনা। মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো তথ্য অনুসারে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ল্যান্ডারটি সম্পূর্ণ ভালো অবস্থায় অবতরণ করেছে এবং পুরোপুরি কাজ করছে। নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, ‘আজ আমরা মানব ইতিহাসে অষ্টমবারের মতো সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করেছি।’ মঙ্গলে কম্পনের মাত্রা, প্রাণধারণের উপযুক্ত কি-না এবং এর পাথরের স্তর কীভাবে তৈরি হলো এসবের রহস্যভেদ করবে ইনসাইট। এর আগে এ বছরের ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স ঘাঁটি থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ইনসাইট। ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ মাইল গতিতে ৩০ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৯৮১ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলে পৌঁছে এটি। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জার্মান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের তৈরি এইচপি থ্রি যন্ত্র ব্যবহার করে মঙ্গলের ১৬ ফুট গভীরে পৌঁছাতে পারবে ইনসাইট। এইচপি থ্রি যন্ত্র মঙ্গলের পাথরের স্তরে তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং তেজষ্ক্রিয়তা পরিমাপ করবে। প্রাপ্ত তথ্য পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া যাবে।
দেশের বাজারে শাওমির চার ক্যামেরার স্মার্টফোন পূর্ববর্তী

দেশের বাজারে শাওমির চার ক্যামেরার স্মার্টফোন

মঙ্গলের মাটির নতুন ছবি পাঠাল ইউরোপিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি পরবর্তী

মঙ্গলের মাটির নতুন ছবি পাঠাল ইউরোপিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি

কমেন্ট