মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর কমাচ্ছেন ট্রাম্প

মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর কমাচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পদক্ষেপ হিসেবে জনগণের কর্মক্ষেত্র থেকে পাওয়া বেতনের ওপর কর সাময়িকভাবে কিছুটা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের খবর উড়িয়ে দিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। কিন্তু ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পেরোল ট্যাক্স (কমানো) নিয়ে ভাবছি। অনেকেই চাইবেন এমন কিছু হোক।’ স্বাস্থ্যবিমা, সামাজিক নিরাপত্তা ও পেনশনে অর্থায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেন এমন সব নাগরিককে তাঁদের আয়ের ওপর ‘পেরোল ট্যাক্স’ (বেতনের ওপর কর) দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটা ভাবছেন না। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মন্দা থেকে অনেক দূরে আছি।’ আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল ইস্যু শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি। কিন্তু চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে মার্কিন অর্থনীতির ঊর্ধ্বমুখী গতি শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কর ছাড় দিয়েছিলেন। ফলাফল, ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দাম বেড়ে যায় অনেক। কিন্তু সেই প্রভাব এখন কমতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আরো অন্যান্য কর কমানোর বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছি। সব সময়ই এটা নিয়ে ভাবি আমি। আমাদের এমন শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের একটি কারণ হলো করের হার কমানো।’ এ ছাড়া ট্রাম্প আরো জানান, আয়ের উৎসে করের হার কমানো সম্ভব কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে তাঁর প্রশাসন। তবে এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। এদিকে, আবারও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক যদি (সুদের) হার কমাত, তাহলে আমাদের বড় উপকার হতো।’ চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য সংকট নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। বেইজিংয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হচ্ছে না ওয়াশিংটনের—এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের অর্থনীতি গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে বছর কাটিয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসতে চায়। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, তারা যদি সঠিক চুক্তি না করতে পারে, আমি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে যেতে প্রস্তুত নই।’
পুলিশের পোশাকে কলকাতায় ডাকাতি, ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার পূর্ববর্তী

পুলিশের পোশাকে কলকাতায় ডাকাতি, ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসার অঙ্গীকার হংকং প্রশাসকের পরবর্তী

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসার অঙ্গীকার হংকং প্রশাসকের

কমেন্ট