মাশরাফী ঝলকে টাইগারদের দাপুটে জয়

মাশরাফী ঝলকে টাইগারদের দাপুটে জয়

সাফল্যের ভেলায় ভাসতে থাকা বাংলাদেশ দল হারায়নি পথ। মাশরাফি-মোস্তাফিজের পর মুশফিকের ব্যাটিং-দ্যুতি যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করল টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলেন স্বাগতিকরা। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচশেষে মাশরাফি জানালেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবেন তারা। অধিনায়কের চোখ এখন সিরিজ জয়ে। মিরপুরে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে সিলেটে উড়াল দিতে চান মাশরাফিরা। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। সাফল্যের ধারাটা ওয়ানডেতেও ধরে রাখার ব্রত ছিল টাইগারদের। মাঠের পারফরম্যান্সেও তার প্রতিফলন দেখা গেল। টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও স্বাগতিকদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি উইন্ডিজরা। মাশরাফি-মোস্তাফিজদের সামনে ‘খড়কুটোর’ মতো ভেসে গেছেন পাওয়েল-হোপরা। ক্যারিবিয়ানদের গুঁড়িয়ে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হলো লাল-সবুজের। গতকাল মিরপুরে একপেশে ম্যাচেরই মঞ্চায়ন দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। দেশের মাটিতে বছরের শেষটা রাঙিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। তার চাওয়াকে পাওয়ায় রূপ দিতে বদ্ধপরিকর সতীর্থরাও। দেশের মাটিতে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলা মাশরাফি নিজেও উজ্জ্বল। বল হাতে ক্যানভাসে ছবি এঁকেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস! মোস্তাফিজ দিয়েছেন তুলির শেষ আঁচড়। মাশরাফি-মোস্তাফিজের পর ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের পথে ভিত গড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। তবে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল (১২) ছিলেন অনুজ্জ্বল। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো ইমরুল কায়েসও (৪) নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। উইকেট ছিল স্লো। উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের কাছে রানের চাকা সচল রাখাই যেন কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরচেয়েও বেশি দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে মাশরাফি, যদিও শুরুর ধাক্কাটা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। আর যা-ই হোক, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ১৯৫ রান নিয়ে বেশিক্ষণ লড়াই করা যায় না। উইন্ডিজ বোলাররাও তা পারেননি। মুশফিকের ব্যাটিং-নৈপুণ্যে ৮৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে (১৯৬/৫) নোঙর ফেলেন মাশরাফি-সাকিবরা। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান (তামিম, লিটন, ইমরুল, সৌম্য) ফর্মে থাকায় একাদশ সাজানো নিয়ে ‘মধুর’ সমস্যায় পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কাউকেই হতাশ করেননি। প্রথম ওয়ানডের একাদশে ছিলেন চারজনই। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামানো হয় লিটন দাসকে। উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৩৭ রান। ইমরুল তিনে। সৌম্য সরকার ছয়ে। ব্যক্তিগত ৫ রানে নো বল ভাগ্যে ‘জীবন’ পাওয়া লিটন দাস আউট হয়েছেন ৪১ রানে। ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে সৌম্য সরকার মেরেছেন দুইটি চার ও একটি ছক্কা। মুশফিকুর রহিম ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। গড়েছেন বেশ কটি জুটি। তৃতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে ৪৭, চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৫৭, পঞ্চম উইকেটে সৌম্যর সঙ্গে ২৯ রান জমা করেন স্কোরকার্ডে। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটি। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। ৭০ বলে ৫৫* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে মুশফিক মেরেছেন পাঁচটি বাউন্ডারি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ পূর্ববর্তী

পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

স্টেডিয়ামে ‘নৌকা-নৌকা’ স্লোগান, যা বললেন মাশরাফি পরবর্তী

স্টেডিয়ামে ‘নৌকা-নৌকা’ স্লোগান, যা বললেন মাশরাফি

কমেন্ট