মা ফোনে খেলছে, শিশু দৌড়ে ট্রাকের নিচে, মুহূর্তেই শেষ

মা ফোনে খেলছে, শিশু দৌড়ে ট্রাকের নিচে, মুহূর্তেই শেষ

মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা ও মমতার কাছে তুচ্ছ পৃথিবীর আর সব কিছুই। একজন মা সারাজীবন তার সন্তানকে আগলে রাখেন বুকে। কেননা, সন্তান যে তার নাড়িছেঁড়া ধন। শুধু মানবকুলে নয়, সৃষ্টি জগতের সকল প্রাণীর জন্য বিদ্যমান মায়ের ভালবাসা ও মমত্ববোধ। কিন্তু থাইল্যান্ডে ঘটেছে তারাই বিপরীত এক ঘটনা। নিজের ছেলেকে রেখে স্মার্টফোনে গেইম খেলছেন মা। খোঁজ নেই তার ছেলে কোথায় কী করছে। পরে শেষ পর্যন্ত ছেলেকে আর জীবিত ফিরে পাননি সেই মা। থাইল্যান্ডের সামুয়াট প্রাকান প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোনে গেইম খেলার সময় তার শিশু রাস্তার পাশই দৌড়াতে থাকে। পরে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ট্রাক এসে কেড়ে নিয়ে যা শিশুটির তাজা প্রাণ। শিশুটির মা উইলওয়ান পিটপ্যান (৩২) মেবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। তার শিশু কী করছিলো খেয়াল করেননি তিনি। তার চোখের আড়ালে শিশু সন্তান বাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় চলে যায়। সেই সাথে মুহূর্তের মধ্যেই একটি ট্রাক চলে আসে। ট্রাক চালক শিশুটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পিছনের চাকার সাথে ধাক্কা লেগে ওই শিশুটি মারা যায়। নিহত শিশুটির মামা জানান, তিনি শিশুটিকে রেখে মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দরজা খুলে কখন সে বাইরে চলে গিয়েছিলো তা শিশুটির মার খেয়াল ছিলো না। তিনি জানান, আমি জানি না কতক্ষণ মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করেই দেখলাম বাড়ির দরজা খুলা। আমি ভাবছিলাম কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। কিন্তু তাকে রক্ষ করতে কেই এগিয়ে আসেননি। পরে উদ্ধারকারী টিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম। শিশুটির আসহায় মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি আবার ওই সময়টাতে ফিরে যেতে চাই। আমার আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিলো। আমার শিশুকে আবার ফিরে পেতে চাই। কখনো চোখের সামনে থেকে দূরে যেতে দেব না। ট্রাক চালক সেনান সপাপং (৬১) জানান, তিনি ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূর থেকে ট্রাক চালিয়ে আসছিলেন।অনেক ধীরগতিতেই ট্রাক চালাচ্ছিলেন। কারণ রাস্তা অনেকটা সংকীর্ণ ছিলো। হঠাৎ করেই তিনি দেখলেন একটি শিশু তার ট্রাকের সামনে চলে আসে। তিনি শিশুটিকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি নিজেই পিছনের চাকার সাথে ধাক্কা লাগে। শিশুটির নিহতের ঘটনায় দেশটির স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করছে। ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাগরতলে আজান, ইফতার ও নামাজ! পূর্ববর্তী

সাগরতলে আজান, ইফতার ও নামাজ!

'বিষকন্যা' নাজনীনের রোমহর্ষক গল্প পরবর্তী

'বিষকন্যা' নাজনীনের রোমহর্ষক গল্প

কমেন্ট