মিলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মিলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সংগীতশিল্পী মিলার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ২০১৭ সালে মিলার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু দেড় বছর ধরে মিলা সাক্ষী দিতে না আসায় একাধিকবার সমন জারি করা হয়। তবুও আদালতে হাজির না হওয়ায় অবশেষে রবিবার (২৩ জুন) মিলার নামে গ্রেপ্তা পরোয়ানা জারি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৯ ঢাকা। মিলার প্রাক্তন স্বামী পারভেজ সানজারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মনগড়া ও মিথ্যা মামলা করে সে আমাকে ও আমার পরিবারকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু সাজানো মামলায় কোনো তথ্যপ্রমাণ সে দিতে পারেনি। এমনকি আমি নিয়মিত হাজিরা দিলেও নিজের করা মামলার শুনানিতে সে নিজেই উপস্থিত হয়নি প্রায় দেড় বছর। বারবার ডেকে পাঠানোর পরও সে হাজির না হওয়ায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’ তিনি জানান, শুধু গ্রেপ্তারি পরোয়ানাই নয়, বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলা একাধিকবার আদালত, মাননীয় বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করায় কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তার আইনজীবীর কাছে তাও জানতে চেয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল। সানজারির পক্ষের উকিল হিসেবে আছেন নাজিবুল্লাহ হিরো। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা বাদী হয়ে তার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির নামে মামলা করেন। মামলার পরই সানজারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিলার করা মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ওই বছরের ৩ অক্টোবর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী সানজারি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। মামলায় আরও বলা হয়, যৌতুক নেয়ার পর সানজারি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তার স্বামী তাকে মারধরও করেছেন। একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ১২ মে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের মাত্র ১৩ দিন পরই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই জেরে বিচ্ছেদও হয় তাদের। বিচ্ছেদের পরও মিলা তার স্বামীর নামে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আনেন। মিলার স্বামীও পাল্টা মামলা করেছেন মিলার নামে। কয়দিন আগে সানজারির পরিবার দাবি করে, মিলা সানজারির ওপর এসিড নিক্ষেপ করেছেন বলেও। এসিড হামলার প্রতিবাদে মিলার শাস্তি দাবি করে একটি সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনও করেছে পারভেজ সানজারির পরিবার। এর আগে মিলা রাজধানীর বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সানজারির বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করেন। এসময় মিলার বাবাও মেয়ের অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে কথা বলেন।
টাইগার-দিশার বিচ্ছেদ? পূর্ববর্তী

টাইগার-দিশার বিচ্ছেদ?

‘দেখবেন?’ এক শব্দে ভক্তদের মন জয় দীপিকার! পরবর্তী

‘দেখবেন?’ এক শব্দে ভক্তদের মন জয় দীপিকার!

কমেন্ট