থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই
মিসরকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়া
দলে ফিরেছিলেন মহম্মদ সালাহ। কিন্তু জয় পেল না মিসর। রাশিয়ার বিপক্ষে বাঁচামরার লড়াইয়ে ৩-১ গোলে পরাজয় বরণ করে নিল মিসর। ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপে খেলতে এসে কার্যত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
রাশিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মিসর একাদশে ইনজুরি কাঁটিয়ে ফেরেন মোহামেদ সালাহ। ম্যাচের ৬ মিনিটেই সামেদভের ক্রস থেকে ইগনাশেভিচ হেড করলে সেটি তালুবন্দি করেন মিসর গোলকিপার এল শেনাউই। ১৬ মিনিটে ত্রেজিগেতের দূরপাল্লার শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচে রাশিয়ানদের আক্রমণে একদম কোণঠাসা হয়ে পড়ে মিসর।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়া। ডি বক্সের ভেতর মিসরের আহমেদ ফাতি আত্মঘাতী গোল করলে পিছিয়ে পড়ে মিসর। বিশ্বকাপে এটি ৫ম আত্মঘাতী গোল। কেবলমাত্র ১৯৯৮ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।
তিন গোলে পিছিয়ে থেকে টিকে থাকতে আক্রমণের ধার বাড়ায় মিসর। ৭৩ মিনিটে সালাহকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে রেফারি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেন। ভিএআরের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হয়। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে মিসরের হয়ে প্রথম গোলটি করেন মোহাম্মদ সালাহ। তৃতীয় মিসরীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন সালাহ।
এক গোল শোধ দিলেও রাশিয়ার আক্রমণে রীতিমত পরাস্ত হয় মিসর। শেষ দিকে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি মিসর। আর এতেই বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল স্বাগতিক রাশিয়া।
কমেন্ট