মেরামত হচ্ছে ওজোন স্তর

মেরামত হচ্ছে ওজোন স্তর

ওজোন স্তর পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে ১৯৮০ সালে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর অ্যান্টার্কটিকা অংশে সময় লাগবে ২০৬০ সাল পর্যন্ত। পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে এই ওজোন স্তরের অবস্থান। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রংহীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি। ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মূলত মনুষ্যসৃষ্ট রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি। এই সিএফসি থাকে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ক্যান, ফ্রিজ ও এয়ারকন্ডিশনারে। ফলস্বরূপ, ১৯৮৫ সালে দেখা গেল যে দক্ষিণ গোলার্ধের ওজোন স্তরে বড়সড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। ওপরের ওজোন স্তরের অন্তত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে যায়। তবে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩ শতাংশ হারে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘মন্ট্রিয়ল প্রোটকল’ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ১৮০টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলো সিএফসির মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর বায়ার্ন টুন বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছি, যেখানে এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
রাশিফলে জেনে নিন কেমন যাবে আজকের দিনটি পূর্ববর্তী

রাশিফলে জেনে নিন কেমন যাবে আজকের দিনটি

ফের বিস্ফোরক মন্তব্য তসলিমার; দ্বিধাবিভক্ত বুদ্ধিজীবীরা পরবর্তী

ফের বিস্ফোরক মন্তব্য তসলিমার; দ্বিধাবিভক্ত বুদ্ধিজীবীরা

কমেন্ট