ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় ব্যারিকেড দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিবহনের হেলপারকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের শীতলক্ষ্যা পরিবহনের শ্রমিকরা প্রহার করায় বিক্ষুব্দ ছাত্ররা মহাসড়কে এ ব্যরিকেড দেয়। পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টায় শিমরাইল-আদমজী ইপিজেড-নারায়ণগঞ্জ সড়কের গোদনাইল এসও রোড এলাকায় সাইড দেওয়া কেন্দ্র করে শীতলক্ষ্যা পরিবহনের একটি বাসের হেলপারের সাথে ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রী পরিবহনের বাসের (ঢাকা মেট্টো-চ-০৮-০০৩৬) হেলপার টিপু সুলতানের হাতাহাতি হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়িটি শিমরাইল মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় শীতলক্ষ্যা পরিবহনের কয়েকজন চালক-হেলপার ওই গাড়ির হেলপার আলাউদ্দিনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ শীতলক্ষ্যা পরিবহনের (নং নারায়ণগঞ্জ-জ-১১-০০০৪) চালক মো. জাহাঙ্গীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শ্রমিককে প্রহার করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা ২০মিনিটে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস এলোপাথাড়ি করে রেখে অবরোধ করে। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ (পিপিএম), ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন মোল্ল্যা তাসলিম হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার, টিআই শরিফ উল ইসলাম, ইন্সপেক্টর আজিজুল হক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরী ছাত্রদের সাথে আলোচনা শেষে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দিলে আধাঘণ্টা অবরোধ শেষে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়।