রায়পুরে ২৭ ব্যবসায়ীর 'স্বপ্ন' পুড়ে ছাই

রায়পুরে ২৭ ব্যবসায়ীর 'স্বপ্ন' পুড়ে ছাই

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থকে অগ্নিকাণ্ডে ২৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) গভীররাতে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসায়ীদের ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও দোকান মালিকদের প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংক ও বেসরকারি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালু করেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার আগেই তাদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। ভবিষ্যতের ভাবনায় তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। পুনরায় ব্যবসায় দাঁড় করানোর মতো অবস্থা নেই অধিকাংশ ব্যবসায়ীর। চোখের সামনেই সাজানো স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভয়াবহ আগুনে মোবাইলের শো-রুম, ইলেকট্রিক, স্বর্ণকারের দোকান, ওষুধের দোকান, সারের দোকান, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, চায়ের দোকান ও স্টেশনারি দোকানসহ ২৭টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন- আবদুল গণি হাওলাদার, আবদুল বারেক বকাউল, সুজন স্বর্ণকার, ইউনুছ মাঝি, মো. শাজাহান, বাচ্চু গাজী, সুমন মাঝি, দুলাল মালতিয়া, আইয়ুব আলী আখন, কাদির বেপারী, শাহ আলম মাঝি, আবু তাহের গাজী, মোস্তফা বেপারী, নুর মোহাম্মদ, শাহ আলম মোল্লা, রাছেল, মুজাম্মেল মাঝি, সোহাগ হাওলাদার, আবুল খায়ের গাজী, সুজন বেপারী, আবদুল কাদের ফরাজী, জাফর ফরাজী, আবদুল হাসেম গাজী, শাহ আলম ও হাসান মোল্লা। কয়েক ব্যবসায়ীর একাধিক দোকান ছিল। এর মধ্যে ৩-৪ জন ঘরমালিক ও বাকিরা ভাড়ায় দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ঘটনার সময় বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যসব দোকানে। স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থল পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যেই মালামালসহ ২৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ, বাচ্চু গাজী ও সুমন মাঝি জানায়, মালামালসহ তাদের দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ১ কোটি টাকার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। এখনো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এর মধ্যেই আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠান নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আগুনে ২৭টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ড়্গতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। তবে দোকান পুড়ে ঘর মালিকদের প্রায় ১ কোটি টাকার ড়্গতি হতে পারে। লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওয়াসি আজাদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত তাদেরকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তা করা হবে।
শিমুলিয়া ঘাটে নৌপুলিশের অভিযান, ৩৮ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ পূর্ববর্তী

শিমুলিয়া ঘাটে নৌপুলিশের অভিযান, ৩৮ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ

ঘাটাইলে ৬৮ ইটভাটার ৪৩টিরই লাইসেন্স নেই পরবর্তী

ঘাটাইলে ৬৮ ইটভাটার ৪৩টিরই লাইসেন্স নেই

কমেন্ট