রেমিট্যান্সে এবারও নবম অবস্থানে বাংলাদেশ

রেমিট্যান্সে এবারও নবম অবস্থানে বাংলাদেশ

চলতি বছরে প্রায় ১৬০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এতে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বে নবম অবস্থানে থাকবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অভিবাসন ও উন্নয়ন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, এ বছরে বেশি রেমিট্যান্স বেশি এলেও বিশ্বে রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশ হিসেবে অবস্থান বদলায়নি। কারণ গত বছরও (২০১৭) বাংলাদেশ একই অবস্থানে ছিল। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় এক হাজার ৫৯০ কোটি ডলার পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবে। ২০১৭ সালের তুলনায় এই অঙ্ক ১৭.৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪২৬ কোটি ডলারের বেশি। যেখানে ২০১৭ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৪৭ কোটি ডলারের কিছু বেশি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশের মধ্যে ভারতের স্থান প্রথমে। দেশটির রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ প্রায় আট হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতেরই শুধু দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি বাড়েনি। বিশেষ করে সৌদি আরবের জাতীয়করণ নীতি এবং ভারতের সস্তায় শ্রম রপ্তানির কারণে এ সময়ে দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে। যে কারণে রেমিট্যান্সের বড় উৎস সৌদি আরব থেকে প্রবাহ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের আমদানি স্থগিত করাও বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার একটি কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পর রয়েছে চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, মিসর, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইউক্রেন ও ভিয়েতনাম। ২০১৮ সালে চীনের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৬৭ বিলিয়ন ডলার, মেক্সিকোর ৩৪ বিলিয়ন ডলার, ফিলিপাইনের ৩৪ বিলিয়ন ডলার, মিসরের ২৬ বিলিয়ন ডলার, নাইজেরিয়ার ২৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ২০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, ইউক্রেন ১৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার এবং ভিয়েতনাম ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করবে বলে জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর রেমিট্যান্স বাড়বে ১০.৮ শতাংশ।
আজ আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট পূর্ববর্তী

আজ আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট

গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে ৪৪১০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক পরবর্তী

গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে ৪৪১০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

কমেন্ট