রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কর্মরত দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) বিরুদ্ধে গণহারে স্থানীয় কর্মীদের ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছে, গত কিছুদিন ধরে এনজিওগুলো স্থানীয় কর্মীদের বিনা নোটিশেই ছাঁটাই করে তাদের স্থলে নিয়োগ দিচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলার বাসিন্দাদের। এর প্রতিবাদে গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা শহরে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে এনজিওগুলোকে আগামী সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে স্থানীয়দের চাকরি ফেরত না দিলে অভিযুক্ত এনজিগুলোকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয় এ কর্মসূচিতে। গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে ‘কক্সবাজারবাসী’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে ভুক্তভোগীরা। তারা অভিযোগ করে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে দেশি-বিদেশি এনজিও পরিকল্পিতভাবে স্থানীয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাই করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের বাদ দিয়ে এনজিওর কর্তারা বিশেষ সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের স্বজন ও নিজস্ব লোকদের চাকরি দিচ্ছেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানীয়দের চাকরি স্থানীয়দের অধিকার। কিন্তু একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা শিবিরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য স্থানীয়দের চাকরি থেকে বাদ দিচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবনেতা কলিম উল্লাহ, নাজিম উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, উখিয়াবাসীর পক্ষে যুবনেতা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, শ্রমিক নেতা এইচ এম নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাঈল সাজ্জাদ, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অপর্ণ বড়ুয়া, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইবনে হোসাইন, উপদপ্তর সম্পাদক মাইন উদ্দিন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসাইন, সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, জেলা ছাত্রদল নেতা কানন বড়ুয়া বিশাল, উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিদুয়ান ছিদ্দিক, প্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন, জাহেদুল করিম, উখিয়ার ছাত্রনেতা মোস্তাক আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা রায়হান উদ্দিন, ভুক্তভোগী চাকরিচ্যুত হওয়া এনজিওকর্মী মোস্তাক আহমদ, মো. ম্যাক্স, আকিব চৌধুরীসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।