‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ’

‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ’

রোহিঙ্গা সংকট এখনও সমাধান না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আশ্বস্ত করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের সেনা প্রধানসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন মিয়ানমারের মানবাধিকার কর্মীরা। আর দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তাগিদ মালয়েশিয়ার। রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অং লেইংসহ আরও তিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের ওপর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। সেনাবাহিনীর ওই দমন-পীড়নের কারণেই ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্টের পর প্রাণে বাঁচতে রাখাইন ছেড়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। ওয়াশিংটনের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতীতে প্রকাশিত ওই খবরে মিন তুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তবে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের দেশটিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তারা সেখানে যাবেন না। তবে তারা বাদে অন্যরা ঠিকই মিয়ানমারে যেতে পারবে। ফলে তারা কোনো সমস্যা দেখছেন না। এরই মধ্যে ইসরাইল তাদের অস্ত্র প্রদর্শনীতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া সামরিক বাহিনীর সব সদস্যের ভিসা দেয়াও বন্ধ করেছে তেল আবিব। তবে ওয়াশিংটনের জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করে দেশটির সচেতন সমাজ। তারা দাবি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আগামীতে যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। মিয়ানমার অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াই ওয়াই নু বলেন, মিয়ানমারের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি মনে করি, এটা শাস্তির প্রথম ধাপ। এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করি। রোহিঙ্গা সংকট এখনও সমাধান না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আশ্বস্ত করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর দিয়েছে আশিয়ানের দেশ মিয়ানমার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ জানান, এ জন্য আর কী কী করা যায় তা ভাবছে কুয়ালালামপুর।
যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর পূর্ববর্তী

যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর

মৎস্য উৎপাদনে এক নম্বরে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী

মৎস্য উৎপাদনে এক নম্বরে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

কমেন্ট