'লালার ব্যবহার বন্ধ করলে ক্রিকেট বিরক্তিকর হবে'

'লালার ব্যবহার বন্ধ করলে ক্রিকেট বিরক্তিকর হবে'

করোনার বিপর্যয় কাটলেই হয়তো খুব দ্রুতই মাঠে ফিরবে ক্রিকেট। তাই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, বলে লালা ব্যবহারের প্রথা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে লালার ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করেছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে যে নিদের্শনাগুলো দিয়েছে আইসিসি, সেখানেও বলা হয়েছে লালার ব্যবহার বন্ধ করার কথা। যদি তাই হয়, ক্রিকেট ম্যাচ বিরক্তিকর হয়ে যাবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্ক। বলে লালা ব্যবহার বন্ধ করলে ম্যাচ একপেশে হয়ে যাবে, যেটা পুরো ম্যাচকে একঘেয়ে করে তুলবে বলেও মনে করেন তিনি। বল সুইং করাতে ক্রিকেটারদের বড় অস্ত্র হলো লালার ব্যবহার। সেটা না করতে পারলে পুরোনো বলে বোলিং করা চ্যালেঞ্জিং হবে পেসারদের জন্য। তখন বেশি সুযোগ পাবেন ব্যাটসম্যানরা। এতে ক্রিকেট তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হারাবে। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে স্ট্রার্ক বলেন, ‘গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় আমরা নিষ্প্রাণ কিছু উইকেট দেখেছি। আর বল যদি সোজা যায় (সুইং না করে), তাহলে লড়াই খুব একঘেয়ে আর বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। কুকাবুরা (ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান) সম্ভবত বল উজ্জ্বল করার জন্য মোম বা এ জাতীয় কিছু বের করার চেষ্টা করছে। সেটা বিবেচনায় আছে কিনা, জানি না। তবে লড়াইটা যেন সমানতালে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আরও ভাবতে হবে। সাধারণত স্পিনাররা মনে করেন, যে উইকেটে বল সুইং করে সেখানে স্পিনও কিছুটা করে। তো বোলারদের খেলায় ধরে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করা উচিত।' অবশ্য স্টার্ক বলে লালার চেয়ে ঘাম বেশি ব্যবহার করেন। তবুও বিষয়টি ভাবাচ্ছে অসি তারকাকে, ‘উইকেটগুলো যেন নিষ্প্রাণ না হয়, বা বল উজ্জ্বল করার জন্য কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা, এসব নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। বোলাররা ঘাম ও লালা, দুটিই ব্যবহার করে থাকে। আমি ঘামের ব্যবহারই বেশি করি, হাত খুব বেশি মুখে যায় না আমার। প্যাট কামিন্স গত সপ্তাহে যা বলেছে, আমি পুরোপুরি একমত যে ব্যাট ও বলের সমতা রাখতে হবে। এটির সঙ্গে আপোস চলবে না। বল যাতে সুইং করানো যায়, সেটির কোনো পথ রাখতে হবে।'
ইংল্যান্ডের ভাবনাকে অবাস্তব বলেছেন ভারতীয় তারকা পূর্ববর্তী

ইংল্যান্ডের ভাবনাকে অবাস্তব বলেছেন ভারতীয় তারকা

আইসিসিকে নিয়ে শোয়েব আখতারের বিস্ফোরক মন্তব্য পরবর্তী

আইসিসিকে নিয়ে শোয়েব আখতারের বিস্ফোরক মন্তব্য

কমেন্ট