লাল কার্ডে লজ্জার রেকর্ড!

লাল কার্ডে লজ্জার রেকর্ড!

ম্যাচের সময় তখন মাত্র ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড। জাপানি ফরোয়ার্ড শিনজি কাগাওয়ার পোস্টে নেওয়া শটটা ছিল নিশ্চিত গোল। তবে সেটা হয়নি কলম্বিয়ান ফুটবলার কার্লোস সানচেজের হঠাৎ ‘গোলরক্ষক’ বনে যাওয়ায়! হাত দিয়ে বল থামানোর শাস্তিটা সঙ্গে সঙ্গেই পেয়েছেন এই মিডফিল্ডার। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন, সঙ্গে গড়েছেন লজ্জার এক রেকর্ড। উরুগুয়ের সাবেক ফুটবলার আলবার্তো বাতিস্তা অবশ্য একটুখানি চটতেই পারেন সানচেজের ওপর। ৩২ বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় বলটা যদি ম্যাচের ৫৬ সেকেন্ডের আগেই পাকড়াতেন হাত দিয়ে, তবে একটা লজ্জাজনক রেকর্ডের চূড়া থেকে সরে যেত বাতিস্তার নামটা! বিশ্বকাপে বাতিস্তার চেয়ে দ্রুত মাঠে আর কেউ ছাড়েনি। ১৯৮৬ সালে অবশ্য এই ডিফেন্ডারের গোলেই উরুগুয়ে পেয়েছিল মেক্সিকোর টিকিট। কিন্তু বিধি বাম, যে বিশ্বকাপে দলকে আনলেনই তিনি, তাঁকেই জড়িয়ে থাকতে হল সবচেয়ে দ্রুত মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার লজ্জার এক রেকর্ডের সঙ্গে! গ্রুপের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ে মুখোমুখি হয়েছিল স্কটল্যান্ডের। সে ম্যাচের এক মিনিটও হয়নি তখন। মাত্র ৫৪ সেকেন্ড গড়াতে না গড়াতেই লাল কার্ড পেয়ে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল বাতিস্তাকে। বাতিস্তার রেকর্ডটা ভেঙে অবশ্য কখনই খুশি হতেন না সানচেজ। যদিও খুশি এখনও নন এই মিডফিল্ডার। তাঁর হ্যান্ড-বলটার জন্যই যে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন কাগাওয়া। আরেক জাপানি ফরোয়ার্ড ওসোকা পরে আরও এক গোল করে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে লাতিন কোনো দলকে পরাজিত করেছে। কে-ই বা খুশি হতে পারবেন, এমন কাণ্ডের জন্য!
মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় সুয়ারেজ পূর্ববর্তী

মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় সুয়ারেজ

নিজেদের রেকর্ডই ভেঙেছে ইংল্যান্ড! পরবর্তী

নিজেদের রেকর্ডই ভেঙেছে ইংল্যান্ড!

কমেন্ট