২ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী

২ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী

আগামী ২ ডিসেম্বর (১২ই রবিউল আউয়াল-শনিবার) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম ও ওফাত দিবস। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: আনিছুর রহমান। সভায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচী প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গৃহীত সিদ্ধান্তসমুহের মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রদান, সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শন করা। এছাড়াও পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ওইদিন রাতে সরকারি ভবনসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাসমূহে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, এ দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর ওর পক্ষকাল ব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি সারাদেশে বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থাসমূহে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের কর্মসূচী গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগে শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশু সদন/বৃদ্ধ নিবাস/মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী পূর্ববর্তী

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী

ফিলিস্তিনীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী

কমেন্ট