শীতকালে সতর্ক থাকো ঠাণ্ডা-কাশিতে

শীতকালে সতর্ক থাকো ঠাণ্ডা-কাশিতে

শীতকালে তোমাদের অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হও। তবে সর্দি তাড়াতাড়ি ভালো হলেও কাশি নাছোড়বান্দা। শুকনো খুসখুসে কাশি তার সঙ্গে গলা ও বুকে এক ধরনের অস্বস্তি ভাব লেগেই থাকে। শীতে সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডা. সাইফুল ইসলাম অনেক সময় কাশি শুধু অ্যালার্জিজনিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খুঁজতে হবে কাশির সময়কাল কত দিনের? একেবারেই নতুন কাশি, নাকি আগে থেকেই ছিল। মৌসুমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না? যদি এমন হয় যে শীতে, ঠাণ্ডায়, গরমে, বর্ষায় বা ধুলাবালিতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়, তবে অ্যালার্জিজনিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নিজের আশপাশের অনেক কিছুই অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ায়। যেমন ধুলামাখা কার্পেট, আলো-বাতাসহীন ভ্যাপসা ঘর, পাখি এমনকি ফুলের রেণু। পরিবার বা বংশে অ্যাজমা বা অ্যালার্জি থাকলে এ ধারণা পাকাপোক্ত হয়। এ ধরনের সমস্যা যাদের হয়, দিনের পর দিন খুসখুসে কাশি হয়, তবে শ্বাসকষ্ট বা কফ বের হয় না। একে কফ জারিয়েন্ট অ্যাজমা বলে। ধুলাবালি এড়িয়ে চলবে। অ্যালার্জির ওষুধ খেতে পারো কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার ব্যবহার করো। ভাইরাস সংক্রমণ-পরবর্তী কাশি ভাইরাস জ্বরের পর জ্বর, সর্দি ভালো হয়ে গেলেও কাশি কিছুদিন থেকে যেতে পারে। অন্য কোনো রোগ যেমন—অ্যাজমা, অ্যালার্জি বা সাইনোসাইটিস না থাকলেও এমন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। কিছুদিন পর এমনিতেই কাশি সেরে যাবে। নাক ও সাইনাসের সমস্যার কারণে কাশি নাকের প্রদাহ বা সাইনাসের প্রদাহের কারণে দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে। নাক বন্ধ থাকা অথবা নাক দিয়ে পানি পড়ার সঙ্গেও অনেক সময় কাশি থাকে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যান্য কারণে কাশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অনেকের কাশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাতে খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে এমন ধরনের কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি ঘটে গ্যাস্ট্রিক জুস পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে উঠে আসার কারণে। শীতকালে গলাব্যথা তোমাদের অনেককেই বলতে শুনি, শীতে গলাব্যথার সমস্যায় ভোগো। গলাব্যথা বলতে শুধু টনসিলের সমস্যা, ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। অনেক কারণেই গলাব্যথা হতে পারে। সর্দি-কাশি বা গলাব্যথা তেমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। একবার ঠাণ্ডা লাগলে তা সারতে অন্তত সপ্তাহখানেক লাগবেই। আর কাশি তো আরো বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে। গলাব্যথা হলে আদা দিয়ে চা খেতে পারো। তবে কাশি কিংবা গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নাও। ঠাণ্ডায় নিজের যত্ন নাও ঠাণ্ডা যাতে না লাগে সে দিকে সর্বোচ্চ খেয়াল নাও। শীতে বাইরে বের হলে গরম কাপড় পরে নাও। মাথায় কানটুপি বা মাফলার পরতে ভুলো না যেন! ধুলাবালি থাকলে বাইরে মাস্ক পরে বের হও। কুসুম গরম পানি পান করতে পারলে ভালো। গোসলেও কুসুম গরম পানি ব্যবহার করো। ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ থাকলে একটি বড় পাত্রে ফুটন্ত পানি ঢেলে তাতে মেনথল দিয়ে ওই গরম পানির ভাপ নিলে উপকার পাওয়া যায়।
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধী এই সবজি পূর্ববর্তী

হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধী এই সবজি

পড়ার ব্যাপারে বাচ্চাদের আগ্রহী করার উপায় পরবর্তী

পড়ার ব্যাপারে বাচ্চাদের আগ্রহী করার উপায়

কমেন্ট