শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে সোনা জিতলেন ছেলেরা

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে সোনা জিতলেন ছেলেরা

আগের দিন ফাইনালের পোশাকি মহড়ায় শ্রীলঙ্কার সামনে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং; দুই দিক থেকেই হতাশ করেছিল দল। তবে মূল লড়াইয়ে জ্বলে উঠলেন বোলাররা। ব্যাটসম্যানরাও তাদের কাজটা করলেন ঠিকঠাক। এবার শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। এসএ গেমস ছেলেদের ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ সোনা জিতেছে। কীর্তিপুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট মাঠে সোমবার বাংলাদেশের জয়ের মূল ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল করতে পারে ১২২ রান। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল সেটি পেরিয়ে যায় ১১ বল বাকি থাকতেই। মেয়েদের ক্রিকেটে আগের দিন বাংলাদেশকে সোনা এনে দেন সালমা খাতুন, জাহানারা আলমরা। আজ ছেলেদের ক্রিকেটে সোনার হাসি হাসলেন সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেই সঙ্গে আগের দিন লঙ্কানদের কাছে ৯ উইকেটে হারের প্রতিশোধও নিলেন তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়েছিল। ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফেলেছিলেন পাথুম নিসানকা ও নিশান ফার্নান্দো। ২২ রান করা নিসানকাকে রান আউট করে এ জুটি ভাঙেন জাকির হাসান। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তরুণ পেসার ফিরিয়ে দেন লাসিথ ক্রুসপুলি ও কামিন্দু মেন্ডিসকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা একশ পার করতে পারে শাম্মু আসানের কল্যাণে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া ফার্নান্দো ১৬ ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা করেন ১২ রান। চার ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ। ২৮ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। সুমন খান ১৬ রানে ও মেহেদী হাসান ১৮ রানে নেন একটি করে উইকেট। সৌম্য ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এগিয়েছেন দেখেশুনে। কেউ যদিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট, কিন্তু কার্যকরী সব ইনিংস দলকে এগিয়ে নিয়েছে জয়ের পথে। ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন সৌম্য ও সাইফ হাসান। সৌম্য ২৮ বলে ৪ চারে ২৭ রান করলে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে ৩৯ রানের আরেকটি কার্যকরী জুটি গড়েন সাইফ। তবে রান আউটে শেষ হয় সাইফের ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলা ৩৩ রানের ইনিংস। এরপর একটি করে চার ও ছক্কায় ইয়াসির আলী করেন ১৯ রান। আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন শান্ত। ২৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ। এবারের এসএ গেমসে এটি বাংলাদেশের ১৯তম সোনা। যা এই গেমসের এক আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সোনা জয়ের নতুন রেকর্ড। পেছনে পড়েছে ২০১০ সালে ঘরের মাঠে জেতা ১৮ সোনার রেকর্ড।
বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে নেই মাহমুদউল্লাহ পূর্ববর্তী

বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে নেই মাহমুদউল্লাহ

পাকিস্তান সিরিজে খেলতে পারছেন না লাকমল পরবর্তী

পাকিস্তান সিরিজে খেলতে পারছেন না লাকমল

কমেন্ট