‘সব দিক দিয়ে উন্নয়ন করতে হয়’

‘সব দিক দিয়ে উন্নয়ন করতে হয়’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘উন্নয়ন বড় বিপজ্জনক বিষয়। এক দিক দিয়ে উন্নয়ন করলে হয় না। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক উন্নয়ন প্রয়োজন, আবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও প্রয়োজন। অর্থ্যাৎ রাজনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রয়োজন সাংস্কৃতিক উন্নয়নেরও। সব দিক দিয়ে উন্নয়ন করতে হয়।’ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ শীর্ষক এক সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ রিজইওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় ন্যাশনাল সিঙ্গেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তায়িত হলে বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ করা, ছাড়পত্র দেওয়া ও খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হবে একই ছাদের আওতায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪.১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এর মাধ্যমে ৩ লাখ ১৯ হাজার আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবে। এতে আমদানিতে ১২২ ঘণ্টা ও রপ্তানিতে ৮৮ ঘণ্টা সময়ের অপচয় বন্ধ হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে একটি জায়গায় অটোমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে সব রকমের ট্রানজেকশন হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের সব কাজ একটি জায়গায় সম্পাদন হবে। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিটি কীভাবে বাণিজ্যের উন্নয়ন সাধন করবে তা আমরা এ মুহূর্তে রিয়ালাইজ করছি না। এটি করতে বোধ হয় দুই থেকে তিন মাস লাগবে। তবে আমরা উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর লক্ষ্য আরো প্রসারিত এবং এর আওতায় পণ্যের সংখ্যাও বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।’ অর্থমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা একজন নেতা পেয়েছিলাম যিনি সত্যিকার অর্থেই মহামানব। শোকের মাস হচ্ছে কান্নাকে বিজয়ে পরিণত করার মাস। যেখান থেকে আমরা শক্তি অর্জন করি।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সম্পর্কে বলেন, ‘সাড়ে ৯ বছরের এই সরকারের আমলে দেশ বহুদূর এগিয়েছে। এ সময় ষড়যন্ত্র ছিল, এখনো অব্যাহত আছে।’ এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. এম মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর এ সিস্টেমের আওতায় ১৩টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৩৮টি সরকারি-বেসকারি সংস্থা একসঙ্গে সংযুক্ত হবে। যার নেতৃত্বে থাকবে এনবিআর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ৮টি সুফল পাওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে-ইলেকট্রনিক, অনলাইন সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রক্রিয়া দ্রুততর ও আরও স্বচ্ছ হবে, আন্তর্জাতিক পণ্য খালাসের পরিমাণ বাড়বে, ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় ও সময় কম লাগবে, বিধিগত প্রয়োজনীয়তা হতে শুরু করে পণ্য খালাস পর্যন্ত সামগ্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সঙ্গতি ও নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে, নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের অংশীজন (স্টেক হোল্ডার) এবং সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রক্রিয়াগত দক্ষতা বাড়ানো ও স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারীবান্ধব ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে, নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের স্টেকহোল্ডার এবং সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত পারমিট, লাইসেন্স, সার্টিফিকেট ও শুল্ক পদ্ধতি নিশ্চিত করা হবে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসন উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের জন্য তথ্যের উৎস বৃদ্ধি করা এবং আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়বে।
ঢাকা সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব পূর্ববর্তী

ঢাকা সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব

আহত নেতা ও শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী

আহত নেতা ও শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

কমেন্ট