থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই
সিনেমা দেখে যারা কেঁদে বুক ভাসান তারা আসলে...
সিনেমা দেখে যারা বুক ভাসান তাদের অনেকেই আবেগপ্রবণ বলে মনে করেন। যদিও বাস্তবতা ঠিক তার বিপরীত। তারা বাস্তবে সবচেয়ে শক্তিশালী মানসিকতার মানুষ। অন্যদিকে যারা ভাবলেশহীনভাবে সিনেমা দেখেন তারা মানসিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকেন।
নাটক-সিনেমার নানা দৃশ্য দেখে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। ট্র্যাজেডিতেও কাঁদতে দেখা যায়। যাদের এ রকমটা হয় তারা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সামনে অনেকেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তবে এবার আর তাদের দুর্বলচিত্তের বলা যাবে না। কারণ তারা এর বিপরীত চিত্তের নন বলেই জানা গেছে গবেষণায়।
মূলত দুটি কারণে মানুষ সিনেমায় দুঃখের বিষয় দেখে কেঁদে ফেলে। একটি হলো সেই চরিত্রটির জন্য দুঃখবোধ করা। অন্যটি হলো তার দুঃখের ঘটনার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পাওয়া এবং একাত্মবোধ করা।
হয়তো অনেক সময় হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে তাদের আবেগের এই অযাচিত বহিঃপ্রকাশ নিয়ে। তবে নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে লজ্জা লাগলেও লজ্জা পাওয়ার কোনো দরকার নাই। কারণ এতে বোঝা যায় যে আপনি মোটেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নন। অন্যের আবেগ-অনুভূতিতেও আপনি একাত্মবোধ করেন।
পল জে. জাক নামে এক গবেষক বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করেছেন। তিনি সাইকোলজি টুডেতে এ বিষয়ে নিবন্ধ লিখেছেন, যেখানে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি।
গবেষণায় জাক দেখেছেন, যে ব্যক্তিদের মধ্যে সিনেমা দেখার সময় হাসি-কান্নার মত আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তারা অনেক বেশি শক্ত মানসিকতার মানুষ হন। আর যারা ভাবলেশহীনভাবে সিনেমা দেখেন তারা মানসিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। কারণ নিজেদের আবেগ তারা প্রকাশ্যে আনতে চান না।
সিনেমা-নাটকের মতো বিনোদনমূলক কিছু দেখলে মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন লেভেল বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষের আবেগ-অনুভূতিগুলো অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। হাসির কোনো সিনেমা দেখলে তা শেষ হয়ে গেলেও মানুষের ঠোঁটের কোনে যেমন হাসি থেকে যায়, তেমনি দুঃখের সিনেমা মানুষের জীবনের না পাওয়ার বেদনাগুলোকে বেশি করে জাগিয়ে দেয়। আর যারা বাইরে মুক্ত মনে এই আবেগগুলোর বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ভালো মনের অধিকারী।
কমেন্ট