স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসেন। এ সময় আগে থেকে স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তিনি হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। এখানে তাকে দেয়া সংর্বধনা শেষে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দুপুর থেকেই আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ বাংলাদেশ জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির সুসংবাদ পায়। এ স্বীকৃতি উদযাপনে সরকারিভাবে সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এমনই এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়াকে জনগণের অর্জন বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এই অর্জনকে ধরে রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের উন্নয়ন নীতিমালা বিষয়ক কমিটি (কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসি-সিডিপি) গত ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তাদের ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। পরের দিন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি হস্তান্তর করে। গত বছরের অক্টোবরে ইউনাইটেড ন্যাশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (ইউএনসিটিএডি) এক রিপোর্টে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তিনটি শর্ত পূর্ণ করায় চলতি মার্চ মাসে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করবে। এই তিনটি মানদণ্ড- হচ্ছে মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই), মানবসম্পদ সূচক, হিউম্যান অ্যাসেটস ইনডেস্ক (এইচএআই) এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, ইকোনমিক ভালনারেবিলিটি ইনডেস্ক (ইভিআই)। জাতিসংঘের এই মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই) হবে ১,২৩০ ডলার অথবা আরও বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে ১,৬১০ ডলার। এই উত্তরণে একটি দেশের এইচএআই সূচক অবশ্যই ৬৬ অথবা বেশি এবং ইভিআই ৩২ অথবা নিচে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক যথাক্রমে ৭২ দশমিক ৯ এবং ২৪ দশমিক ৮। এই তিনটি মানদণ্ডের মধ্যে দুটি পূরণ করলেই হয়। কিন্তু, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে প্রথম দেশ যে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উত্তরণের জন্য ২০২৪ সালে জাতিসংঘের ঘোষণা পর্যন্ত তিনটি সূচকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
ডিজিটালাইজ হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পূর্ববর্তী

ডিজিটালাইজ হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থাপনা

২০২৪ সালের মধ্যেই দেশ থেকে দারিদ্র্য বিতাড়িত করবো: অর্থমন্ত্রী পরবর্তী

২০২৪ সালের মধ্যেই দেশ থেকে দারিদ্র্য বিতাড়িত করবো: অর্থমন্ত্রী

কমেন্ট