স্যানিটারি ন্যাপকিনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

স্যানিটারি ন্যাপকিনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

পিরিয়ডের সময়টুকুতে আজকাল সব নারীই নানা ব্র্যান্ডের পছন্দ মতো ও সুবিধা মতো স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এটি যথেষ্ট আরামদায়ক ও আপনাকে যেকোনো পরিবেশে রাখে স্বচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ। কিন্তু হয়তো আপনি নিজের অজান্তেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় কিছু ভুল করে থাকেন। যেগুলো আপনার জন্যে বয়ে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। চুলকানি, র‍্যাশ, ত্বকের নানান রকম অসুখ থেকে শুরু করে হতে পারে ক্যান্সার পর্যন্ত। ভয়াল এই রোগগুলো হতে মুক্তি পেতে একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সাবধানতা। তাই, আপনার জন্যে রইল এমন কিছু বিষয়ের ব্যাপারে সতর্কবার্তা, যে ভুলগুলো একটু চেষ্টা করলেই এড়িয়ে যেতে পারেন আপনি। সুগন্ধীযুক্ত বা ঔষধযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার: সুগন্ধীযুক্ত, ঔষধযুক্ত বা রঙ্গিন প্যাড ব্যবহার করতে আপনার ভালো লাগতে পারে। কিন্তু এতে যে কেমিকেল ব্যবহার করা হয়, তা আপনার জন্যে মারাত্বক ক্ষতিকর হতে পারে। এ থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। একটি ন্যাপকিন সারাদিন ধরে ব্যবহার: উচ্চ শোষনক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন বা আপনার রক্তপাত কম হচ্ছে বলেই সারাদিন ধরে একটি প্যাড পরে থাকবেন না। রক্ত বেশীক্ষন জমে থাকার ফলে সেখানে জীবাণু জন্ম নেয় ও আপনি সেটি দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হবেন। ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা: আগের ন্যাপকিনটি বদলে যখন নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন, তখন তার আগে ভালোভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিন। প্রয়োজনে জীবানুনাশক ব্যবহার করুন। তারপর নতুন ন্যাপকিনটি পরে নিন। ন্যাপকিন ধরার আগে হাত না ধোয়া: ন্যাপকিন ধরার আগে সাধারনত হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক নারীই অনুধাবন করেন না। কিন্তু হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারনে হাতে লেগে থাকা নানা ধরনের জীবানু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে। বাথরুমে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা: বাথরুমে/টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার ফলে হয়তো প্রয়োজনের সময় সেটি আপনার ৫ মিনিট সময় বাঁচায়। কিন্তু টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। আর আপনি সেই জীবানুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মাঝে পড়ে যান সহজেই। মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ খেয়াল না করা: মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ খেয়াল না করার ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। ছাড়ের সময় পণ্য কেনা: ছাড়ের সময় সাধারনত সেই পণ্যগুলোই বিক্রি করা হয় যেগুলো অনেক দিন ধরে মজুদ আছে, কোন ত্রুটির কারণে বিক্রি করা যায়নি, খারাপ মানসম্পন্ন বা মেয়াদোত্তীর্ন। তাই স্বাস্থ্যের জন্যে সংবেদনশীল একটি পণ্যের ব্যাপারে এই ঝুঁকি নেবেন না। নতুন ব্র্যান্ডের কমদামী বা ফ্রী ন্যাপকিন ব্যবহার: কমদামী বা নতুন ব্র্যান্ডের অন্য কোন পণ্যের সাথে ফ্রী পাওয়া স্যানিটারি ন্যাপকিনটি ব্যবহারের আগে ২ বার ভাবুন। কতটা সস্তা কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে তারা এটি এতো সস্তায় আপনার হাতে তুলে দিতে পারছে এবং সেটি ব্যবহার আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা!
ইয়াঙ্গুনে যেভাবে পাওয়া যায় শেষ মোগল সম্রাটের কবর পূর্ববর্তী

ইয়াঙ্গুনে যেভাবে পাওয়া যায় শেষ মোগল সম্রাটের কবর

বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে আগামী বছর একযোগে বাঘশুমারি পরবর্তী

বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে আগামী বছর একযোগে বাঘশুমারি

কমেন্ট