হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এদিন সবাইকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন খ্যাতিমান এই লেখক। ভক্ত-অনুরাগীরা নানান আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখককে স্মরণ করছে। নিউইয়র্কের আকাশে সেদিন ছিল না কোন চাঁদ, ছিল না মায়াবতী জোৎস্না। তার চাওয়া চান্নিপসর রাতের বদলে নিউ ইয়র্কে সেদিন ঝকঝকে রোদ, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মতো অশ্রুসিক্ত ছিলো বাংলার রাতের আকাশ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিয়ইয়র্কের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ২৪শে জুলাই চিরনিদ্রায় শায়িত হন তার নিজ হাতে গড়া গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়শা ফয়েজের ঘর আলো করে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহন করেন হুমায়ুন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কালজয়ী উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘শঙ্খনীল কারাগারের’ মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে শক্তিশালী এক কথাসাহিত্যিকের আগমনী জানিয়েছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম তিন শতাধিক। গল্প বলার এক নতুন ধারায় তার সব গল্প-উপন্যাসই যেমন জনপ্রিয় তেমনি জনপ্রিয়তা পেয়েছে হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই ও রূপার মতো অসাধারণ সব চরিত্র। এক সময় সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি মনোনিবেশ করেন চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণে। কোথাও কেউ নেই, শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারি, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা তার সৃষ্টিকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২০১১ সালে যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে, তখনো কেউ দূরতম কল্পনাতেও ভাবেনি এত দ্রুত ফুরিয়ে যাবে তার জীবন। বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মনে যেমন, তেমনি নুহাশপল্লীর প্রতিটি গাছ, ফুল, পাখি, ঘাসের সঙ্গে মিশে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূনকে স্মরণ করছে ভক্ত-অনুরাগীসহ হিমু-রূপারা।
তিন সিটিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা পূর্ববর্তী

তিন সিটিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা

এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ পরবর্তী

এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ

কমেন্ট