১ বছর ধরে ফাইলবন্দি ২১ আগস্ট হামলার রায়-নথিপত্র

১ বছর ধরে ফাইলবন্দি ২১ আগস্ট হামলার রায়-নথিপত্র

দীর্ঘ ১৪ বছর পর রায় দেয়া হয় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামরার। এরপর পেরিয়ে গেছে ১০ মাস। কিন্তু অগ্রগতি নেই মামলার আপিল শুনানির। প্রায় একবছর ধরে ফাইল বন্দি পড়ে আছে রায় ও নথিপত্র। দ্রুত এ শুনানির উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশেই ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানোর বিষয়টি উঠে এসেছে বিচারিক আদালতের রায়ে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এ হামলায় মদদ দেয়া হয়। যা হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও উঠে এসেছে। হামলার আগে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ সহ আসামিরা হাওয়া ভবনে একাধিক বৈঠক করেন। মুফতি হান্নানকে ১২টি আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেন সেসময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান বলেছিলেন, দুইটা প্যাকেট ছিল, ওইখানে একটা প্যাকেটে ৫ টা করে গ্রেনেড ছিল। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গতবছরের ১০ অক্টোবর আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। যে রায়ে লুৎফুজামান বাবর,আদুস সালাম পিন্টু ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় আরো ১১ জনের। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত রায় এবং সে রায়ের নথি হাইকোর্টে আসলেও নয় মাস ধরে ফাইলবন্দি এ মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির পদক্ষেপ নেয়া হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'এই মামলাতেও আমি সুপ্রিম কোর্টের গোচরে নেব যেন পেপারগুলো তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।' আলোচিত এ মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩ জন জামিন আছেন পলাতক ১৮ জন।এর মধ্যে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতা কায়কোবাদ যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন দীর্ঘদিন ধরে।যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হারিস চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত না হওয়া গেলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফসহ বেশ কয়েকজন আসামি পাকিস্তান ও ভারতে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
গ্রেনেড হামলা মামলা: ৪ মাসের মধ্যে পেপারবুক, এ বছরই শুনানি পূর্ববর্তী

গ্রেনেড হামলা মামলা: ৪ মাসের মধ্যে পেপারবুক, এ বছরই শুনানি

কাশ্মীর ইস্যুতে ঢাকার বিবৃতি পরবর্তী

কাশ্মীর ইস্যুতে ঢাকার বিবৃতি

কমেন্ট