২০ হাজার খেলনা সংগ্রহ করে গিনেস বুকে নাম

২০ হাজার খেলনা সংগ্রহ করে গিনেস বুকে নাম

বয়স তখন পাঁচ। সেই বয়স থেকেই খেলনা সংগ্রহের শখ ফিলিপিন্সের পার্সিভাল লুগের। ছোটবেলা থেকে খেলনা সংগ্রহ করেন ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিংয়ের মতো ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট চেইন শপ থেকে। সঙ্গে ফিলিপিন্সের বিখ্যাত ফাস্ট ফুড চেইন রেস্টুরেন্ট জলিবি তো আছেই। অন্তত ৪৫ বছর পেরিয়েছে এভাবেই। এখন পার্সিভালের সংগ্রহে আছে অন্তত ২০ হাজার খেলনা। নিজের বাড়ির ফ্লোর থেকে সিলিং, পুরোটাই পরিপূর্ণ খেলনায়। ২০১৪ সালেই গিনেস বুকে স্থান পেয়েছে তার নাম। তখন তার সংগ্রহে ছিল ১০ হাজার খেলনা। পার্সিভাল লুগ জানান, আমি আমার খেলনাগুলো বেশ যত্ন নিয়ে রেখেছি, যেখানে অন্য শিশুরা খেলনা কিছুদিন খেলেই ফেলে দেয়। এই কাজে আমার মা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। ছয় বছর আগেই আমার নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এসেছে। ম্যানিলার পামপাংগা প্রদেশের আপালিত শহরে থাকেন লুগ। নিজের বাড়িটিকে খেলনার সংগ্রহশালা বললেই বেশি ভালো হয়। নতুন খেলনা সংগ্রহের আনন্দ তাকে ঘিরে থাকে সবসময়। মাঝে মাঝে লুগ বাচ্চাদের মতোই নিজের সংগ্রহের খেলনা নিয়ে খেলে। সংগ্রহে থাকা বেশির ভাগ খেলনাই তিনি কিনে নিয়েছেন। কিছু খেলনা আবার বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সদস্যরা উপহার দিয়েছে। তার জানা নেই, পুরো সংগ্রহশালায় থাকা খেলনাগুলোর দাম আসলে কত হবে। তিনি বলেন, প্রতিটা খেলনাই ভিন্ন ভিন্ন গল্প বলে। কোনটা আমাকে বিশেষ কোন সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। একেকটা খেলনার সঙ্গে একেক ধরনের আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে। নতুন খেলনা পেলেই মনে হয় ক্রিস্টমাসের সকাল। ম্যাকডোনালডসের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে যখনই দেখি নতুন খেলনা এসেছে, ঢুকে পড়ি কিনতে সংগ্রহে থাকা তার প্রিয় খেলনাটি হেটি স্পাগেত্তির একটি পুতুল, যেটি জলিবি চেইন থেকে তার মা তাকে ১৯৮৮ সালে উপহার দিয়েছিলেন। লুগ জানান, তার সংগ্রহে থাকা খেলনাগুলো নিয়ে তিনি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চান। গড়ে তুলতে চান জাদুঘর। যেন সবাই তাদের শৈশবের স্মৃতি আগলে রাখতে পারে।
গোয়ালঘরে কোভিড সেন্টার, খাওয়ানো হচ্ছে দুধ-গোমূত্র! পূর্ববর্তী

গোয়ালঘরে কোভিড সেন্টার, খাওয়ানো হচ্ছে দুধ-গোমূত্র!

রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পরবর্তী

রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা

কমেন্ট