রোহিঙ্গা ও পাহাড়ি জনপদে আতঙ্ক ম্যালেরিয়া

রোহিঙ্গা ও পাহাড়ি জনপদে আতঙ্ক ম্যালেরিয়া

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ম্যালেরিয়া থেকে দূরে রাখা। এসব এলাকায় স্ত্রী এ্যানোফিলিশ হানা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ অতো সহজ হবে না বলেই মত তাদের। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে এরই মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারের কাছে বিশেষায়িত মশারি বিতরণের পাশাপাশি বিশেষ এসব এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা। পুরো বাংলাদেশে না হলেও পাহাড়ি জনপদের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম ম্যালেরিয়া। যদিও ২০০৭ সালে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মাধ্যমে অনেকটাই কমে এসেছে এর প্রাদুর্ভাব। সবশেষ পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে ২০১৩ সালের পর ১৪ সালে হঠাৎই আক্রান্ত ও মৃতের ৭সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও ১৫ , ১৬ ও ১৭ তে তা ক্রমহ্রাসমান। আর তাই জুলাই ২০১৭ থেকে নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্মূলের দিকে এই কর্মসূচি। পরিকল্পনা অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে, ২৬ সালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার, আর ৩০ সালে মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা থেকে নির্মূল করা হবে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আকতারুজ্জামান জানান, 'ম্যালেরিয়া নির্মূলে আমরা প্রস্তুত। এটি লক্ষ্য রেখে আগামি মে মাস থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে চায়।' তবে এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির গুলোতে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, খুব একটা ঝুঁকিতে নেই এসব এলাকা। তবুও সাড়ে তিনলাখ শরণার্থী পরিবারকে বিশেষ মশারি বিতরণসহ সতর্কতায় নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। পাশাপাশি দ্রুত রোগ নির্ণয় ও আক্রান্তের চিকিৎসার ক্ষেত্রের সজাগ রয়েছেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিন বলেন, 'টিমমেন্টের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিসংখ্যান করেছে। এছাড়া সাড়ে তিন লাখ মশারি সরবরাহ করেছি।' এছাড়া ম্যালেরিয়া নির্মূলের স্বাভাভিব কার্যক্রমও সমানতালে চলছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পূর্ববর্তী

আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস

জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না: সেতুমন্ত্রী পরবর্তী

জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না: সেতুমন্ত্রী

কমেন্ট