ডেসটিনি অবলুপ্ত প্রশ্নে আদেশ আগামীকাল

ডেসটিনি অবলুপ্ত প্রশ্নে আদেশ আগামীকাল

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কোম্পানিটি অবসায়ন বা অবলুপ্তি করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আগামীকাল সোমবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। আজ রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে ডেসনিটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম বদরুদ্দোজা। এর আগে গত ১৫ মে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড অবসায়নের (অবলুপ্ত) কেন আদেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২১ মে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ২৭ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরপর আজ শুনানি শেষে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়। সেদিন আদালতে ওই কোম্পানির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন-অর-রশীদ ও পাঁচ শেয়ার হোল্ডারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান ও মাইনুল ইসলাম। জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম বদরুদ্দোজা। এ কে এম বদরুদ্দোজা জানান, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড হওয়া কোম্পানিটির ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বার্ষিক সাধারণ সভা বিলম্বের মার্জনা চেয়ে ওই কোম্পানির পরিচালক এম হারুন-অর-রশীদ ও পাঁচ শেয়ার হোল্ডার হাইকোর্ট আবেদন করেন। হারুন-অর-রশীদ ছাড়া বাকি পাঁজজন হলেন- কাজী মোহাম্মদ আশরাফুল হক, মো. সাইফুল আলম রতন, সিরাজুম মুনীর, মো. জাকির হোসেন, বিপ্লব বিকাশ শীল। আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্টার ও ডেসটিনি-২০০০লিমিটেডকে। এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেন, আইন অনুসারে প্রতি ইংরেজি পঞ্জিকা বত্সরে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হয়। এতে ব্যর্থ হলে কোম্পানির যেকোনো সদস্যের আবেদনক্রমে, আদালত উক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করতে অথবা আহ্বান করার নির্দেশ দিতে পারবে এবং আদালত উক্ত সভা আহ্বান অনুষ্ঠান ও পরিচালনার জন্য যেরূপ সমীচীন বলে বিবেচনা করবে সেরূপ অনুবর্তী ও আনুসাঙ্গিক আদেশ দিতে পারবে৷ এ আইন অনুসারে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু যে ছয়জন আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ শর্তসাপেক্ষে জামিনপ্রাপ্ত। জামিনের শর্ত ছিল- তদন্ত পর্যন্ত তিনি এ কোম্পানির কোনো কার্যক্রমের সাথে কোনো রকম সম্পর্ক রাখবেন না। আবেদনে তদন্ত শেষ হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু বলা নাই। ফলে তিনি আবেদন করতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এছাড়া তাদের এজিএমের আবেদনে উল্লেখ আছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোম্পানির কোনো অডিট নেই। অডিট রিপোর্ট না থাকলে বার্ষিক সাধারণ সভা কীভাবে হবে? তিনি আরো বলেন, আবেদনে তারা বলেছে, দুদকের মামলায় সমস্ত সম্পদ জব্দকৃত। সে সম্পদ তত্ত্বাবধানে তত্ত্বাবধায়কও নিয়োজিত আছেন। ফলে কোম্পানি হিসেবে এর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। এছাড়া সাত পরিচালকের মধ্যে ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কোম্পানির পরিচালক রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেন জেলে আছেন। চারজন পলাতক। এছাড়া তদন্ত চলাকালে অপর পরিচালক হারুন-অর-রশীদ এ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না, এমন শর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। দুদকের কারণে ছয় বছর ধরে কোম্পানির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। এখন পরিচালক ছাড়া এজিএম হবে কীভাবে? এ কারণে আদালত এজিএমের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে কোম্পানিটি অবসায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতি শোকজ নোটিশ জারি করেছেন বলে জানান এ কে এম বদরুদ্দোজা।
মহাসড়কে মন্ত্রীর গাড়িও রং সাইড চালালে জরিমানা : সেতুমন্ত্রী পূর্ববর্তী

মহাসড়কে মন্ত্রীর গাড়িও রং সাইড চালালে জরিমানা : সেতুমন্ত্রী

‘ঢাকায় ৩ বছরের বেশি থাকা শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে দিন’ পরবর্তী

‘ঢাকায় ৩ বছরের বেশি থাকা শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে দিন’

কমেন্ট