চুয়াডাঙ্গায় আজও তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল

চুয়াডাঙ্গায় আজও তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল

চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় জনজীবনে দুর্ভোগ ছিল বেশি।

এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।

 
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘চলতি এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কোনো সুখবর নেই। বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তাপমাত্রা বেশির ভাগ দিনই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। এখনো তা অব্যাহত রয়েছে।

তাপমাত্রা একই অবস্থানে থাকতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে যেতেও পারে।’
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র রোদের তাপ ও গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই রোদের তাপ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ছে।

সকাল ৯টার পর থেকে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। বেলা যত বাড়তে থাকে এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে রোদের তাপ। মানুষ স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছে না। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, তাপদাহের কারণে জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না।

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ পাম্পগুলোতে পানি উঠছে একেবারে কম।
দামুড়হুদার পারদামুড়হুদা গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, মাঠে দেড় বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছে। ইতিমধ্যে ধান ফুলে শেষ হয়ে গেছে। আগে দুই-তিন দিন পরপর সেচ দিতে হতো। অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। পনির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় মেশিনে পানি উঠছে খুবই কম। পানি সেচে আগে যেখানে দেড় ঘণ্টা পানি লাগত, এখন চার ঘণ্টা লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

দামুড়হুদার হাউলি গ্রামের ইজি বাইক চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক বেলার বেশি গাড়ি চালাতে পারছি না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। আগের তুলনায় রোজগার কমে গেছে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে হিট অ্যালার্ট মেনে চলতে হবে। হিট স্ট্রোক রোধে সাবধান থাকতে হবে।

ইটভাটায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু পরবর্তী

ইটভাটায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

কমেন্ট