‘ফু বাও’কে বিদায় জানাল দক্ষিণ কোরিয়া

‘ফু বাও’কে বিদায় জানাল দক্ষিণ কোরিয়া

বৃষ্টিভেজা পার্কে জমায়েত হয়েছেন অনেকেই। সকলেই এসেছেন অতিকায় এক পান্ডাকে চীনে যাওয়ার আগে বিদায় জানাতে। বিদায় জানাতে এসে অনেকের চোখ ছল ছল করছে। গত বুধবার এমন দৃশ্যই দেখা গেলো দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে অবস্থিত এভারল্যান্ড থিম পার্কে।

 
‘ফু বাও’ নামের পান্ডাটির জন্ম ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায়। জন্মের পর থেকেই সবার আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল সে। পান্ডাটির বাবা-মা আই বাও এবং লি বাও। যাদের ২০১৬ সালে এক লিজ প্রোগ্রামের অধীনে চীন থেকে ১৫ বছর জন্য সিওলের ওই পার্কে আনা হয়েছিল।

চীন দেশের বাইরে পাঠালেও পান্ডা ও তার শাবকদের ওপর তাদের মালিকানা বজায় রাখে। 
বুধবার সিওলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফু বাওয়ের ভক্তরা সবাই জড়ো হয় এভারল্যান্ড থিম পার্কে তার বিদায় অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে সেদিনই তাকে চীনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেদিন দেখা যায়, একটি ট্রাক ফু বাওকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাকটি ফু বাওয়ের বিশাল এক ছবি দিয়ে সাজানো ছিলো। ট্রাকের গায়ে তার উদ্দেশ্যে একটি বার্তা লিখা চিল, “অলৌকিকভাবে তোমার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিলো। ধন্যবাদ তোমাকে, ফু বাও।” তবে তাকে জনসম্মুখে শেষবার দেখা গিয়েছিলো ৩ মার্চ। এমনকি গতকাল বুধবারও তাকে দেখা যায়নি।
এ সময় কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। 
চিড়িয়াখানার কর্মী কাং চেওল-ওন বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “১০ বছর বা ১০০ বছর কেটে গেলেও তুমি চিরকালের জন্য আমাদের শিশু পান্ডা। আজ ফু বাও চলে যাচ্ছে। অনুগ্রহপূর্বক ফু বাওকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মনে রাখবেন সবাই...।” ফু বাওয়ের মা আই বাও গত বছর দুটি জমজ মেয়ে শাবকের জন্ম দেয়। এটি ছিলো দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম জমজ পান্ডার জন্ম।

ইফতারে শসা খেলে পাবেন যেসব উপকার পরবর্তী

ইফতারে শসা খেলে পাবেন যেসব উপকার

কমেন্ট