মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য, ছাত্রলীগ দখলদারত্বে বিশ্বাসী নয়: ওবায়দুল কাদের

মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য, ছাত্রলীগ দখলদারত্বে বিশ্বাসী নয়: ওবায়দুল কাদের

ছাত্রলীগ দখলদারত্বে বিশ্বাসী নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্রসংগঠন। ছাত্রলীগ দখলদারত্বে বিশ্বাসী নয়।

আজ সোমবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দখলদারত্ব শুরু হয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহাবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শ বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়।’

জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়ার আমলে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন হয়। এর প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যাহত করে। এই নীতি ও আদর্শবিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বুঝেন না যে এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তাঁরা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবেন। তাঁরা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছেন এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ও অভিন্ন মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা হলো ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। আর ইতিহাসের বিরুদ্ধে যে জাতি বা গোষ্ঠী অবস্থান নেয়, তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশের মূল চেতনা হতে বিচ্ছিন্ন ইতিহাসবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিলুপ্তির পথে।

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের পরবর্তী

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের

কমেন্ট