যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও গাজায় হামলা থেমে নেই

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও গাজায় হামলা থেমে নেই

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। আলজাজিরার একজন প্রতিবেদক গাজার দেইর এল-বালাহতে অবস্থান করছেন। সেখানে আল-আকসা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহু হতাহতকে দেখতে পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

ওই প্রতিবেদক আরো জানান, ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য গাজার আজ-জাওয়াইদায় একটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর পরেই হাসপাতালটি আহত মানুষে ভরে গেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পর এটাই প্রথম হামলা। তিনি আরো উল্লেখ করেন, আহতদের মধ্যে বহু নারী ও পুরুষ রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর জানিয়েছেন, হামলায় শিশুও নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা ভেবেছিল গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ কমে যাবে। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজাজুড়ে ৬০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, হামলায় টানেল এবং কিছু ভবন লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেখানে হামাস যোদ্ধারা উপস্থিত ছিল। তারা আরো বলেছে, ‘গাজা শহরের শিফা হাসপাতালে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক দিনে সেনারা বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং অস্ত্র জব্দ করেছে।’
বিবৃতিতে আরো যোগ করা হয়েছে, ‘সেনারা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেছে।

হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতাল এবং খান ইউনিসের চারপাশে বড় আকারের অভিযান পরিচালনা করছে।’
এ ছাড়া রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশু রয়েছে। রাফাহ শহরের উত্তর-পূর্বে নাসর এলাকায় ইসরায়েলের গোলাবর্ষণেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গাজার দক্ষিণ জেলায়ও হামলা চলছে। যেখানে ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। 

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও হামলা চলছে। প্রায় ছয় মাসের যুদ্ধে এই ধরনের প্রথম প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলো। এতে সব জিম্মির অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।

অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদ অচলাবস্থায় ছিল। তারা যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছিল। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মস্কোতে হামলার পেছনে কারা জড়িত, জানালেন পুতিন পরবর্তী

মস্কোতে হামলার পেছনে কারা জড়িত, জানালেন পুতিন

কমেন্ট