বিএনপির নেতারা বউদের শাড়িগুলো পুড়িয়ে দিলে বুঝব সত্যিকারের পণ্য বর্জন করেছেন: প্রধানমন্ত্রী
বর্জ্য দিয়ে গাড়ি, এক ঢিলে তিন পাখি!
বাংলায় প্রবাদ আছে এক ঢিলে দুই পাখি মারার। কিন্তু এক ঢিলেও যে তিন পাখি মারা যেতে পারে সেটি দেখিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের এইন্ডহোফেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
‘লুকা’ নামের একটি প্রকল্প থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং মোবিলিটি বা পরিবহনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎমুখী সমাধান এসেছে। প্রকল্পের আওতায় শুধু বর্জ্য ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়ি তৈরি করে চমকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
প্রকল্পটির ম্যানেজার লিসা ফান এটেন নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘গাড়ির কাঠামো ফ্ল্যাক্স অর্থাৎ শণ এবং রিসাইক্লিং করা পিইটি অর্থাৎ প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি। আমরা আরও এমন উপকরণ ব্যবহার করেছি। বাসায় ফেলে দেওয়া রকমারি জঞ্জাল দিয়ে গাড়ির ভেতরের অংশের জন্য কিছু তৈরি করেছি।’
ভবিষ্যত পৃথিবীকে বাঁচাতে তার বার্তা- কোনো বর্জ্যই ফেলনা নয়। বর্জ্য মানেই কাঁচামাল, যা নতুন পণ্যের জন্য রিসাইকেল করা সম্ভব।
লিসা বলেন, ‘আমরা মাত্র ২২ জন ছাত্রছাত্রী। অনেকেই পার্টটাইম কাজ করেন। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল, সবকিছু ভেবে বার করতে হয়েছিল। কেউ তো আর আগে গাড়ি তৈরি করেনি!’
জানা যায়, মাত্র ১৮ মাসেই এই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাটেইস ফান ভেইক বলেন, লুকার ছয়টি ব্যাটারি রয়েছে। সেগুলো আসলে ছয়টি আলাদা মডিউল। ব্যাটারি শেষ হলেই বদলে ফেলা সম্ভব। এর সিট তৈরি হয়েছে নারিকেলের তন্তু, ঘোড়ার লোম ও রিসাইকেল করা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে। ফলে এটি একই সঙ্গে দেখতে সুন্দর ও আরামদায়ক। দুই সিটের এই ইলেকট্রিক গাড়ির পেছনে দুটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। স্পোর্টস কারের মতো সুন্দর গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে এক চার্জে ২২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এইন্ডহোফেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সৃজনশীল উদ্ভাবনী স্পৃহার কারণে বিখ্যাত। বিশ্ববিদ্যালয়টি সৌরশক্তির মাধ্যমে ইলেকট্রোমোবিলিটি নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব সৌর চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ‘লুকা’ প্রকল্পটির গাড়ি তুলে ধরা হয়েছিল যা সৌরশক্তিচালিত পারিবারিক গাড়ি বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেছে।
কমেন্ট