২৪ বছর পর গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

২৪ বছর পর গ্রেপ্তার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্কুলশিক্ষক চাচাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজার আসামি আব্দুর রহিমকে (৬০) ২৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাপ খাদুলী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরের দিকে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আব্দুর রহিম উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাপ খাদুলী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

দুপুরের পর থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে রবিবার বিকেলে শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি আরো জানান, জমিজমা নিয়ে আব্দুর রহিমের সাথে তার স্কুলশিক্ষক চাচা গোলাম রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এ ঘটনার জের ধরে আব্দুর রহিম ও তার লোকজন ১৯৯৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে গোলাম রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহত গোলাম রহমান প্রতাব খাদুলী গ্রামের ইব্রহীম খানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ওই দিনই ধুনট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আব্দুর রহিম ও জয়নাল আবেদীন সহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, জয়নাল আবেদীন সহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচার শেষে ২০০৪ সালের ২৩ মে আব্দুর রহিম ও জয়নাল আবেদীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
এ মামলায় আব্দুর রহিম ১৯ মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে স্বপরিবারে আত্মগোপন করেন। সেখানে আব্দুর রহিম নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে নিজেকে শহিদুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদরে গড়েয়া ইউনিয়নের ঢাংগীপুকুর গ্রামে বসবাস করেন। তিনি ওই এলাকায় গড়েয়া ফাজিল মাদরাসায় চাকরি করতেন এবং দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চাপাপাড়া মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজার আদেশপ্রাপ্ত অপর আসামি জয়নাল আবেদীন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হলো কেএনএফের ৩ সদস্যকে পরবর্তী

বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হলো কেএনএফের ৩ সদস্যকে

কমেন্ট