পরীক্ষায় মোবাইল দেখে লেখার ভিডিও ভাইরাল, কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি
বরগুনায় দাখিল পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে উত্তর লেখা ও দেখাদেখি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল হাদিস শরীফ পরীক্ষা চলাকালে বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মডেল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্র সচিব ও মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহা. মামুন অর রশিদকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মডেল মাদরাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হাদিস শরীফ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন পরীক্ষার্থীরা। ওইদিন পরীক্ষা চলাকালীন নিয়ম ভঙ্গ করে একটি হলের পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়েই পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং তা ব্যবহার করে উত্তরপত্র লিখার দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই হলের দায়িত্বরত শিক্ষক দাঁড়িয়ে আছেন এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থী প্রকাশ্যে মোবাইল ব্যবহার করে উত্তরপত্র লিখছেন। পরবর্তীতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার পর বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মডেল মাদরাসা কেন্দ্রে নতুন কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢলুয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মাককসুদুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদরাসার মুহাদ্দিস মো. সাইফুল্লাহ।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ ও সাবেক কেন্দ্র সচিব মুহা. মামুন অর রশিদ বলেন, কিছুদিন আগে মাদরাসায় একটি ঝামেলা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের আগে চেক করা হয়।
আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মোবাইল দেখে পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিওটি দেখেছি। আমরা ওই শিক্ষককে কেন্দ্রসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট