ফকিরহাটে মাদরাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ফকিরহাটে মাদরাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলারে বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানায় এক ছাত্রকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গতকাল সোমবার (১৯ মে) এ ঘটনাটি ঘটে।


নিহত শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল  শেখ (১২) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাফেজিয়ার ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলো- একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন (১৪)। সে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. তানভীর বিশ্বাস (১৪)।


সে খুলনার বটিয়াঘাটার গাউঘরা গ্রামের রুস্তুম বিশ্বাসের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানার শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন, মো. তানভীর বিশ্বাস ও মো. আশরাফুল শেখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি বাগানে গামছা দিয়ে গলাচিপা খেলছিল। একপর্যায়ে আশরাফুলকে ওই দুই শিক্ষার্থী গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। এরপর মরদেহ নিয়ে মাদরাসার পেছনে টয়লেটে রেখে দেয়।


পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উঁচু দেয়ায়ের ওপর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিকে উক্ত মাদরাসার এক ছাত্রকে ঘটনাটি জানায়। সেই ছাত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ নাজমুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ফকিরহাট থানা পুলিশকে অবগত করে। 
এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর মোসা. ফাতেমা বেগম মা জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জানান যে তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে রাতে জানতে পারেন তার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

 

নগর ভবনের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থানে ইশরাকের সমর্থকরা পরবর্তী

নগর ভবনের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থানে ইশরাকের সমর্থকরা

কমেন্ট