মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গুলশানের বাসায় তারেক রহমান
কটিয়াদীতে হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসছে শীত, জনজীবনে দুর্ভোগ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পৌষের হিমেল হওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসছে শীত। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে মানুষ। গত দুদিন ধরে নেই সূর্যের দেখা। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকে প্রকৃতি।
বিকেল থেকে শীতের মাত্রা আরো তীব্র হয়। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না।
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড়েছে ঠান্ডায় নানান রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া টাইফয়েডসহ নানান সমস্যায়।
বেসরকারি ক্লিনিকেও বেড়েছে ঠান্ডার রোগী। চিকিৎসকরা রোগীদের উষ্ণ কাপড় ও গরম খাবার বেশি পানি পানের পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় শীতের কারণে মানুষের কষ্টের চিত্র। গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা রয়েছে চরম কষ্টে।
গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট করতে হচ্ছে। অনেকের ঘরে নেই শীতবস্ত্র। সন্ধ্যার পরেই কোথাও আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে মানুষ। এদিকে দানশীল মানুষের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন হতদরিদ্র মানুষ।
কটিয়াদী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র কেনার জন্য মানুষের ভিড় দেখা যায়।
ফুটপাতে নতুন এবং পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম লেগেছে। হতদরিদ্র মানুষ কম টাকায় পুরাতন শীতবস্ত্র কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
জালালপুর ইউনিয়নের চর-ঝাঁকালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, ‘দুদিন ধরে শীতের কারণে জমিতে যাইতে পারি না। দরকার ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছি না। মাঝেমধ্যে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’
মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগীচর গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তীব্র শীতে দুদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছি। সূর্য নাই আকাশে। গ্রামে অনেক মানুষের শীতবস্ত্রের অভাব। অনেকেই নিরবে কষ্ট করছে শীতে। দানশীল মানুষের এগিয়ে আসা উচিত সমাজের।’
কমেন্ট