রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ, ৩ আসামির রিমান্ড আবেদন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে দুইদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন ধর্ষকের সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
এর আগে রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদের আদালতে হাজির করে পুলিশ আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এই ঘটনার আসামিরা হলেন- তৌসিফ, আফজাল, আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীর।
এদের মধ্যে তৌসিফ, আফজাল, আবু সুফিয়ান সোহানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। দুইদিন আটক রেখে গণধর্ষণের পর ওই ছাত্রীকে শুক্রবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর বাবা চারজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় এক মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুরে প্রথমে ওই ছাত্রীকে রুপগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক অপারেশন রফিকুল হক জানিয়েছেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিব ওই ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তৌসিফ টাকা ফেরত দিবে বলে ফোন করে গন্ধর্বপুর বাস স্ট্যান্ডে নিয়ে যায় ছাত্রীকে। তৌসিবসহ একই এলাকার তানভীর, সোহাগ, আবু সুফিয়ান সোহান মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী ও কর্নগোপ এলাকার এক বাড়িতে তাকে দুইদিন আটকে রেখে তারা ধর্ষণ করেন। পরে তারা শুক্রবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে ফেলে যান।
মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তৌসিফ, আফজাল ও আবু সুফিয়ানকে গ্রেপ্তার করে। আসামি তানভীর পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
কমেন্ট