জয়পুরহাটে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে দিলেন বৃদ্ধ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জোরপূর্বক ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ডান পা ভেঙে যায়।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টাকারী আব্দুল কুদ্দুসকে (৬৫) আটক করেছে পুলিশ। আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
ধর্ষণ চেষ্টাকারী আব্দুল কুদ্দুস কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সেই কারণে ওই মেয়ে তার বৃদ্ধ দাদা ও দাদির কাছে থাকে। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৬৫) গত ১ বছর যাবত উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এসে একটি নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে থেকে ওই এলাকায় কৃষি দিনমজুরের কাজ করেন।
ঘটনার দিন শিশু শিক্ষার্থীটিকে বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একা পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস মুখ চেপে ধরে ছাদের উপরে নিয়ে যান। ঘটনাটি ওই গ্রামের আব্দুল গনির স্ত্রী দেখতে পেয়ে গ্রামের অন্যান্য লোকজনদের খবর দেন। তারা এসে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে বাড়ির দরজা ভেতর থেকে আটকা থাকায় উৎসুক লোকজন দরজায় লাথি ও চিৎকার করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুল কুদ্দুস শিশু শিক্ষার্থীকে দোতলার ছাদের উপর থেকে মাটিতে ফেলে দেয়।
ওই সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
ওই বাড়ির মালিক প্রবাসী কাবিলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকি নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করেন। বাড়িটি এখনো নির্মাণ করতে পারিনি। আজকে আমার স্ত্রীর মারফত ঘটনা জানতে পারলাম। আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করেন। ওই লোকটি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বীরেন্দ্র সিং জানান, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
কমেন্ট