রাজবাড়ীতে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনার মূল হোতা গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীতে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনার মূল হোতা গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর সদরে হত্যা মামলার তদন্তে গেলে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনার মূল হোতা মো. বছির কবিরাজকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।

অভিযুক্ত বছির কবিরাজ উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাজাপুর মধ্যপাড়া এলাকায় রুপল হত্যা মামলার তদন্তে গিয়েছিলেন রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন ও এএসআই শেখ আবুল হাশেম।


আরো পড়ুন

রাজবাড়ীতে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
রাজবাড়ীতে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

 

ওই দিন বিকেলে আসামিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছিল মামলার বাদী পক্ষ। এমন সময় বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের থামাতে গেলে লাঠি, ইট ও রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের হামলায় এসআই সাব্বির হোসেন ও এএসআই শেখ আবুল হাশেম গুরুতর আহত হন।


পরে তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় এসআই সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাজবাড়ী সদর থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর গতকাল সোমবার রাজবাড়ী জেলা পুলিশের অভিযানে মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার হামলার মূলহোতা বছির কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, সদর থানার এসআই সাব্বির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল পরিকল্পনাকারী বছির কবিরাজকে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


তাকে বিকালে আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার এই মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মনির হোসেন মোল্লা ওরফে বড় মনির ও এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি মো. মোসলেম মোল্লাকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ ও চুরির অভিযোগে রাজাপুর গ্রামের ভ্যান চালক রুপল শেখকে (২৭) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত রুপলের মামা কালাম মোল্লা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

 

কেন্দুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ পরবর্তী

কেন্দুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ

কমেন্ট