দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য নির্দেশনা, প্রজ্ঞাপন জারি
বরিশালের বিএনপি ১২ নেতার পদ স্থগিত
মেঘনায় বালু মহালের ইজারা বাগাতে এক সেনাসদস্যকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ শীর্ষ নেতার পদ আরো ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ ঘটনার পর ১২ জনের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আললকে একমাত্র সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর অভিযুক্তদের পদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার শাস্তি দেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শাস্তিপ্রাপ্তরা হলেন— হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নুর হোসেন সুজন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউল রহমান মঞ্জু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিজাম, কামরুল ইসলাম, হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, রুবেল ও ফাহিম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অনেকজন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তাদের লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ জেলায় ৬টি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার বালুমহালের ইজারা বাগাতে বিএনপি নেতারা ‘গুছ’ মিশনে নেমেছিলেন। তাদের এড়িয়ে দরপত্র জমা দেন কাজী আব্দুল মতিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতারা মতিনের ভাতিজা সেনা সদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে মারধর করে একটি রেস্ট হাউজের কক্ষে আটকে রাখেন।
সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে দেওয়ান মনির হোসেন, নুর হোসেন সুজন ও ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছিল।
কমেন্ট