রংপুরের গংগাচড়ায় জিসান হোসেন রাহিম (৮) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (৩০ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত সোহেলের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্ত সোহেল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দ্রাহবি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল রানা প্রায় দুই বছর ধরে গংগাচড়ার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন চালাতেন।

এই সুবাদে তার সঙ্গে জিসানের মা জেসমিন আরা খাতুনের পরিচয় গড়ে ওঠে। সোহেল তার উপার্জনের টাকা জেসমিনের কাছে জমা রাখতেন। সম্প্রতি জমা রাখা প্রায় ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে জেসমিন তাকে টাকা না দিয়ে উল্টো চড় মারেন।
এ ঘটনার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেসমিন আরার ছেলে জিসানকে জুতা কিনে দেওয়ার কথা বলে মাদরাসা থেকে নিয়ে যান সোহেল।

পরে পথে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। এ দিকে রাতে জিসানকে দেখতে না পেয়ে খুঁজাখুঁজি শুরু করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এ সময় এক ছাত্র জানায় জিসানকে এক ব্যক্তি নিয়ে গেছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা সোহেলের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গেলে তার কথাবার্তায় তাদের সন্দেহ হয়।

পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে সোহেলকে আটক করে এবং পরে তার দেখানো স্থানে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
জিসানের সহপাঠী গোলাম রাব্বানী (১০) বলেন, নামাজের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন এক লোক এসে জিসানকে নিয়ে যায়। সে প্রায়ই এসে জিসানকে নাশতা দিত, ভেবেছিলাম আজও তাই নিয়ে যাচ্ছে।

মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রেজাউল করিম বলেন, রাত ৯টার দিকে এক শিক্ষক দেখতে পান জিসান রুমে নেই।

পরে এক ছাত্র জানায়, তাকে তার এক মামা নিয়ে গেছেন।
পাটক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।