দেশে দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই বাজারে গরুর দাম কম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভুয়া এনজিও খুলে ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় ‘শেখ ট্রেডিং’ নামে একটি ভুয়া এনজিও খুলে ৫ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়েছেন মো. সাহিদুল ইসলাম নামের এক প্রতারক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা চরম হতাশা ও ক্ষোভে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, প্রায় তিন-চার বছর আগে পাংশা পৌর শহরের মৈশালা বাজারের নিমতলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এনজিওটির কার্যক্রম শুরু করেন সাহিদুল ইসলাম। তিনি নিজেকে শেখ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান (একটি সামাজিক ব্যবসা) বলে পরিচয় দেন এবং গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে সঞ্চয় গ্রহণ শুরু করেন।
বিনিময়ে দেওয়া হতো সদস্য পাশ বই, যাতে ‘শেখ ট্রেডিং’ নাম উল্লেখ ছিল।
তিন বছরে ফিক্সড ডিপোজিট ও সাধারণ সঞ্চয়ের মাধ্যমে ৫০০-৬০০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
ভুক্তভোগী রোকছানা বেগম বলেন, আমি ডিপিএস হিসেবে টাকা দিয়েছিলাম। সাহিদুল বলেছিল, দুই বছর আগে টাকা তোলা যাবে না।
দুই বছর পর টাকা চাইলে তিনি উধাও হয়ে যান।
প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সাহিদুল ইসলাম ২৬ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া বাকি রেখে হঠাৎ করে চলে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘরের মালিক জানান, উনি চলে গেছেন, আমি এখনো পাওনা টাকা পাইনি। পরে শুনি উনি অনেক মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহিদুল বর্তমানে কালুখালী উপজেলার লাড়িবাড়ী বাজারে আরেকটি অফিস চালানোর চেষ্টা করছেন, তবে সেখানে গিয়েও অফিস বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রতারক সাহিদুল ইসলাম পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুঁইজোর গ্রামের বাসিন্দা, তার পিতার নাম নিফাজ উদ্দিন। সাহিদুলের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি, পরিবারের কেউ তার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
শেখ ট্রেডিং-এর সাবেক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৫০০-৬০০ জন গ্রাহক ছিল। সঞ্চয় প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো হবে।
তবে ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। এসব বিষয় সাহিদুল নিজেই পরিচালনা করতেন।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. আবু দারদা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট