চার দিনের সরকারি সফরে কাল যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাসা থেকে ডেকে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর কদমতলী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নাঈম (১৮) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় স্মৃতিধারা ৮নং গলি ১৮৬৯ রাহেলা মঞ্জিল সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম সিএনজি চালক ছিলেন।
Advertisement
স্মৃতিধারা ৬নং গলি ২৫৫ এম শফিকুর রহমানের বাড়িতে নিচতলায় ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার জনকাঠি গ্রামে। তার পিতার নাম জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
নিহত নাঈমের মা নাজমা বেগম যুগান্তরকে বলেন, রোববার সকাল ৯টায় আমার দুই ছেলে নাঈম ও সাঈমকে বাসায় রেখে বাহির দিয়ে তালা দিয়ে আমি কাজ করতে যাই। তখন বাসায় আমার দুই মানিক ঘুমিয়ে ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় আমাকে একটি ছেলে খবর দিয়ে বলে আন্টি আপনার ছেলেকে স্মৃতিধারা ৮নং গলিতে কয়েকটি ছেলে মারতেছে। আমি যেতে যেতে ছেলেকে পাইনি। রাস্তায় শুধু রক্ত দেখেছি। তাকে ওইখানকার লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে। গতকাল রাতে ও সকালে কেন জানি আমার ছেলে কোন খাবার খায়নি।
এসময় তিনি বিলাপ করে বলেন, আমার ছেলে কখন বাসায় আসবে। সেই সকালে হাসপাতালে গেছে এখনও আসে না কেন? তার ছেলে মারা গেছে তার পাশে থাকা স্বজনরা কেউ বলেনি।
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে নাঈম মারা গেছে। তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে স্মৃতিধারা এলাকার একাধিক বাসিন্দা যুগান্তরকে বলেন, সকাল আনুমানিক ১০/সাড়ে ১০টার সময় নিহত নাঈমকে স্মৃতিধারা ৮নং গলির পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে নিতে নিতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, আমাদের এলাকায় মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি। কিশোরগ্যাং এর ব্যাপক উৎপাত। থানা পুলিশ আগের মতো কাজ না করার কারণে কদমতলী থানায়, খুন, আত্মহত্যা, চুরি, ছিনতাই, মারামারিসহ অপরাধ প্রবনতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা আরো বলেন,বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ির ও বাসার সামনে সিসি ক্যামেরা লাগালে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পেত।
শ্যামপুর জোনের এসি শরাফত হোসেন যুগান্তরকে বলেন,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কমেন্ট