মাদকের টাকা না দেওয়ায় রামদা শান দিয়ে বাবাকে হত্যার হুমকি

মাদকের টাকা না দেওয়ায় রামদা শান দিয়ে বাবাকে হত্যার হুমকি

মাদকাসক্ত ছেলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন। প্রতিনিয়তই মাদক সেবনের টাকা চেয়ে না পেয়ে বসতঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তছনছ ছাড়াও মা-বাবা ও পরিবারের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল থেকেই ঘরের বারান্দায় বসে বিশাল আকৃতির রামদা শান দেওয়া দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বাবাকে। ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঝালুয়া গ্রামের।


ছেলের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাবা থানায় নিরাপত্তা চেয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

 
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (২২)। গত প্রায় ৫ বছর ধরে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় মাদক সেবনের টাকা চেয়ে না পেয়ে চালান পরিবারের ওপর নির্যাতন।


বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি ছোট একটি ব্যবসা করেন। তা দিয়ে সংসারে স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ সদস্যের মুখে আহারের যোগান দেন। এর মধ্যে ছেলের আবদারে বিয়ে করালে কিছুদিন ভালোই ছিলেন। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর ফের আবার মাদকাসক্ত হয়ে যান।


এ অবস্থায় স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ১৪ মাসের সন্তান রেখে স্ত্রী চলে যান। এতে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

 
তিনি আরো জানান, চাপের মুখে পড়ে ছেলেকে আবারও বিয়ে করানো হয়। সেই সংসারেও কন্যা সন্তানের জন্ম হলেও মাদকের টাকার জন্য অতিষ্ঠ করে তোলেন। এক পর্যায়ে তাকে রিহ্যাবে (মাদক নিরাময় কেন্দ্র) পাঠানো হয়।

সেখান থেকে এসে আবার মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এর মধ্যে স্ত্রীকে অত্যাচার নির্যাতন করলে এই স্ত্রীও বাবার বাড়ি চলে যান। বর্তমান অবস্থায় গাঁজা ও ইয়াবার প্রতি মারাত্মকভাওবে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। চাহিদামতো টাকা না পেলে ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে তছনছ করে ভয়ভীতি দেখান। এ ছাড়াও বড় একটি রামদা এনে সবার সামনেই শান দিয়ে বলেন, সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করবেন। অনেক সময় নিজের শিশু সন্তানকে কাছে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে পুরো পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে চাহিদা মতো টাকা চেয়ে না পেয়ে ঘরের বারান্দায় বসে রামদায় জোরে জোরে শান দিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন জানিয়ে বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, কাছে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তেড়ে এসে হামলার চেষ্টা করেন। এতে ভীতু হয়ে কেউ ঘরের কক্ষের দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছে আর তিনি বাড়ি ছেড়ে বাহিরে আছেন। আমি ছেলের নির্যাতন ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় গিয়ে জানালেও পুলিশ কোনো কর্ণপাত করছে না।

নান্দাইল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, কিছুক্ষণ আগে ওই ছেলের বাবার একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে। ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

রায়পুরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার পরবর্তী

রায়পুরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

কমেন্ট