ময়মনসিংহে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ৩ জনকে আটক করল পুলিশ
অটোরিকশা করে বাসায় ফিরছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। পথ আটকে টাকা, মুঠোফোন, মানিব্যাগ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তিন ছিনতাইকারী ও খোয়া যাওয়া সব কিছু উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাতে ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দায় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীদের আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র, ভুক্তভোগী ও পুলিশ জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মো. মনিরুল হক (৩১)। তিনি নগরের ছোট বাজার এলাকার আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত। মনিরুল হক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের ছেলে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের কাজ শেষে মাসকান্দা এলাকায় যান মনিরুল হক। কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার পর একটি দল তার পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা তাকে চাকু দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দিতে বলে। প্রথমে তিনি রাজি না হলে মারধর শুরু করে।
পরে সঙ্গে থাকা আড়াই হাজার টাকা, মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও এতে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
মনিরুল হক বলেন, ভয় দেখিয়ে ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ডও নিয়ে যায়। একপর্যায়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা চলে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে টহলরত পুলিশ এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে কিছু ছবি দেখায়। পরে কয়েকটি ছবিতে ছিনতাইকারী চিহ্নিত করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নগরের বলাশপুর নয়াপাড়া এলাকার শরাফ উদ্দিনের ছেলে তানভির হোসেন ওরফে অন্তর (২৫), শম্ভুগঞ্জের রাঘবপুর এলাকার আদাস আলীর ছেলে মো. মিলন (২৫) ও একই গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, তানভির হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলা ও মিলনের বিরুদ্ধে একটি ছিনতাইয়ের মামলার তথ্য থানায় আছে।
ছিনতাইয়ের শিকার মনিরুল হক বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, থানায় মামলা শেষে আজ মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে ছিনতাইকারী দলের তিন সদস্যকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কমেন্ট